খালেদা জিয়া বন্দি মানে গণতন্ত্র বন্দি : গয়েশ্বর

খালেদা জিয়া বন্দি মানে গণতন্ত্র বন্দি : গয়েশ্বর

ঢাকা, ৩০ জুন (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে তারা ক্ষমতা হারালে শুধু এদেশে নয়, পৃথিবী কোথাও ঠাই হবে না। তাদের আবস্থা রোহিঙ্গাদের মতো হবে। বাংলাদেশের চারপাশে যাদের সীমানা আছে। সে দেশে আওয়ামী লীগ পায়ে হেটে অবস্থান নিতে পারে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধামমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়শ্বের বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ দেশে এককভাবে ধমকের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এভাবে সামনে এগুতে চায়। ভোটের মাঠে ও রাজনীতিতে কাউকে সুযোগ দিতে চায় না। কারণ তাদের মনে চরম ভয় কাজ করছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকের সময়টা অনেক কঠিন। যা করার তরুণ আর যুবকদের করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে কি হবে তা নির্ভর করছে আজকের দিনগুলোর উপর। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া থাকবে কিনা তা তরুণ ও যুবকদের ঠিক করতে হবে। না হলে রাজপথে রক্ত ঝরাতে হবে। কিছুতেই গণতন্ত্র পূর্ণপপ্রতিষ্ঠা করা যাবে না। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আপনাদের রাজপথে কঠিন ও শক্তিশালী আন্দোললন গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র মানে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বন্দি মানে গণতন্ত্র বন্দি।

শেখ হাসিনা আর গণতন্ত্র একসাথে যায় না। শেখ হাসিনা মানে বাকশাল ও স্বৈরতন্ত্র দাবী করে তিনি বলেন, এদেশে যা হয়েছে বা হবে। তা শেখ হাসিনার ইচ্ছেই হচ্ছে। কতটাকা দুর্নীতি হয়েছে, পর্দার আড়ালে যে গুম-খুন হয়েছে। সব তার ইচ্ছেতেই হয়েছে।

তিনি বলেন, এদের (আ.লীগ) থেকে ভাল কিছু আসা করা যায় না। যাদের ১৫৪ সংসদ সদস্য বিনা ভোটে এমপি হয়ে বসে আছে। তারা তো এলোমেলো কথা বলবেই। অস্বাভাবিক ব্যবহার করবেই। এখন বিএনপির খারাপ সময় যাচ্ছে। তাই বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন কথা বলছেন।

তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। তাদের (আ.লীগ) নিজ দলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগেরও এমন অবস্থা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাতি ধরেও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমেনা বেগম নামের এক নারী তখন আওয়ামী লীগের অফিসে মোমবাতি জালিয়ে বসে থাকতেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬২০ঘ.)