বিকালে ইসি সচিব যান বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে: মির্জা আলমগীর

বিকালে ইসি সচিব যান বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, একজন সচিবকে দিয়ে সরকার নির্বাচন কমিশন চালায়। তিনি হলেন হেলালুদ্দীন আহমেদ। তিনি বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিজের অফিস করেন। এরপর চলে যান একটি বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে।

মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, সচিব যে কার্যালয়ে যান সেখানে দলটির নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরি হয়, যার প্রধান হলেন এইচ টি ইমাম। এইচ টি ইমাম যে কোনো নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে গিয়ে কথা বলেন। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে ২০১৪ সালের নির্বাচন তিনি নিজেই করিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি এবং তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে নাজিমউদ্দিন আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খোন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, আসাদুর রহমান খান, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, রফিক শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

একাদশ নির্বাচনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে কোনো নির্বাচনে যাব না। সবার আগে তাকে মুক্তি দিতে হবে এবং মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এ দেশের মানুষ কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে। কারাগার ভেঙেই তাকে নিয়ে আসবে। মানুষকে একত্র করতে হবে। সময় এবং সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।

মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। সেই নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনের সময়ে নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে- এসব হচ্ছে আমাদের ন্যূনতম দাবি।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, একদিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেখুন, দেশের কী অবস্থা হয়। এই সরকার এমন জায়গায় গেছে, যেখান থেকে ফিরতে পারবে না। সরকার যেখানে গেছে, সেখানে জনগণের কোনো স্থান নেই। সরকার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক-পিস্তলের ওপর নির্ভর করে হুকুমের বলে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। দেশের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা আলমগীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের এলাউ করা হবে না এবং ভেতরে কোনো সমাবেশ করা যাবে না বলে প্রক্টরিয়াল কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর তীব্র নিন্দা করেন মির্জা আলমগীর।

ঢাবির এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিদ্যাপীঠ নয়, শিক্ষাপীঠ নয়, মুক্তচিন্তার আসল জায়গা। যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষেত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নির্যাতনের সমালোচনা করেন তিনি।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৫৯ঘ.)