২০ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক বিএনপির

২০ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক বিএনপির

ঢাকা, ১৫ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাঁকে সুচিকিৎসা না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রবিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আমরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকেলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চাই। আমরা আশা করব যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্ব ও নির্বাচন থেকে সরাতে সরকার দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মূলত বিএনপিকে সব দিক থেকে বেকায়দায় ফেলতে এ অপতৎপরতা শুরু করেছে তারা।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিলুপ্ত ৭ ধারার মতো নির্বাচন কমিশন অনুরূপ একটি ধারা চালু করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি। এর উদ্দেশ্য বিএনপির নেতৃত্ব থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরানো। যাতে বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা সংশোধন করেছে বলে ১১ জুলাই সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য অলীক, অবাস্তব। সংসদে প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্য একটি গভীর চক্রান্তের অংশ।’

বিএনপির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। এটা এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। এ দলের মধ্যে আর রাজনীতি বলে কোনো শব্দ অবশিষ্ট নেই। আওয়ামী লীগ মনে করেছে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তারা এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’

সরকারের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, ‘অনৈতিক পথে হাঁটবেন না। সোজা পথে হাঁটুন, কারণ আপনারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আপনারা নোংরা কৌশল থেকে বের হয়ে এসে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। গণতন্ত্রের পথে আসুন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সরকার। তারা এক-এগারোর মঈনউদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের মতো ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন মায়া ও সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর দলীয় ও সংসদীয় পদে বহাল আছেন। কিন্তু এটাতে কোনো দোষ নেই। শুধু দোষ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তাঁকে একটি সাজানো মামলায় দীর্ঘদিন আটকে রাখছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার চায় তাকে রাজনীতি সরিয়ে দিতে। এ জন্য তার শারীরিক অবস্থা কঠিনতর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বারবার অনুরোধ করা হলেও তাঁকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মইন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদপ্তর সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৩৩০ঘ.)