নির্বাচন নিয়ে এমাজউদ্দীন আহমদের ৪ শর্ত

নির্বাচন নিয়ে এমাজউদ্দীন আহমদের ৪ শর্ত

ঢাকা, ২১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : চারটি শর্ত পূরণ হলে আগামী নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা ও দন্ডাদেশ প্রত্যাহারের’ দাবিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের এক আলোচনা সভায় তিনি এ শর্তের কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনের জন্য সরকারকে চারটি শর্তে পূরণ করতে হবে। প্রথমত বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসনসহ সারাদেশের বিভিন্ন দলের ২০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা রয়েছে। এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের তফসিলের আগে চলমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তৃতীয়ত প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি মিলে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। এতে বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়সহ ৩-৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে তারা সঠিকভাবে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে পারে। এ ছাড়াও ভোটররা যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে সকল ভোটারের কাছে ভাট চাইতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত তিনবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবার ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা করেছিলেন। এরপর ৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে গণতন্ত্রকে ফিরে আনা হয়। এরপর ২০০৭ এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে। এই নিহত গণতন্ত্রকে বেগম খালেদা জিয়াই পুনরুদ্ধার করবেন।

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মুক্তির জন্য আইনি সহায়তার পাশাপাশি গতকাল সমাবেশ করে যে শক্তি দেখিয়েছে বিএনপি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেই আন্দোলন করে রাজপথে থেকে সেই শক্তি দেখাতে হবে।

বর্তমান সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কবরে নিয়ে গেছে। এ কারণে গতকালও তিনজন এইচএসসি শিক্ষার্থী মারা গেছে।

সংগঠনের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৬১০ঘ.)