হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল ও যুবদলের সংঘর্ষ, ১৬ নেতাকর্মীকে আটক

হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল ও যুবদলের সংঘর্ষ, ১৬ নেতাকর্মীকে আটক

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গ, সহযোগী এবং সমর্থক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে থেমে থেমে এই সংঘর্ষ চলে। এতে বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আদালতে হাজিরা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মাজারের সামনে আসলে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান করা দলের নেতাকর্মীরা বের হতে চান। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি হাইকোর্ট থেকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অপেক্ষমাণ কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যুক্ত হতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এসময় অনেক নারী নেত্রীকেও পুলিশ লাঠিচার্জ করা হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে ১৫ মিনিট অবস্থান করে। দলের নেতাকর্মীদের একাংশ বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঘিরে রাখলেও অন্য অংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এর আগে বিকাল ৪টায় পুরান ঢাকার বকশীবাজার আদালত থেকে গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা করেন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবারের মতো আজও হাইকোর্টের ভেতরে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটকে রেখেছে এমন সংবাদ শুনে মাজার গেটের সামনে তার গাড়িবহর থামানো হয়।

অপরদিকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে চাঁনখারপুলের পাশ ঘেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মহিলা নেত্রীদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলীয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে যান বেগম খালেদা জিয়া। তার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আজও আদালতের আশপাশে অবস্থান নেন।

ছাত্রদলের এক নেত্রী জানান, সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান নেন তারা। তবে হঠাৎ করেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হন। দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে চাঁনখারপুল পর্যন্ত ব্যারিকেট তৈরি করতে চাইলে নেত্রীদের প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮০৫ঘ.)