প্রশাসনের সহায়তায় ৩ সিটির দখল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা: বিএনপি

প্রশাসনের সহায়তায় ৩ সিটির দখল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা: বিএনপি

ঢাকা, ৩০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট প্রশাসনের সহায়তায় কারচুপি করে ক্ষমতাসীনরা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্র, বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের প্রায় সবকটি কারচুপি করে নিয়ে গেছে। এছাড়া সিলেটের ১৩৪টি কেন্দ্রের ৯০-৯৫ ভাগ ভোট ক্ষমতাসীনরা প্রসাশনের সহায়তায় নিজেদের করে নিয়ে গেছে।

সোমবার বিকাল ৪টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি তিন সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্রও তুলে ধরে বলেন, ‘রাজশাহীর অধিকাংশ কেন্দ্র ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল একেকটি কেন্দ্রে গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে অন্য কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই সে এজেন্টদের পুনরায় বের করে দেয়া হয়েছে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে নাটকীয় ভোট সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করলো। রাজবেতনভোগী কর্মচারী নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিলো তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নন, তারা অবৈধ সরকারের প্রতিনিধি। সুতরাং অবৈধ সরকারের হুকুম তামিল করা ছাড়া তারা অন্য কোনও কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করতে আসেনি।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আজ একজন আওয়ামী নেতা বলেছেন, ‘উৎসবের আমেজে নির্বাচন হচ্ছে।’ তিনি ঠিকই বলেছেন। দস্যুদল লুট করার পর উল্লাসে মেতে ওঠে। আওয়ামী লীগ লুটের মালের মতো একচেটিয়া জালভোট ও ভোট সন্ত্রাসের কৃতিত্বে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছে। আর সেজন্যই তারা উৎসবে মেতে উঠেছে। আর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

এদিকে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একযোগে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দুপুরের দিকে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ছাড়া ভোট বর্জন করে বরিশালের বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থীরা। এছাড়া রাজশাহী ও সিলেটেও ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের মতো ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তবে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবি করছেন- নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯০৭ঘ.)