ঢাকা, ৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলেই কোমলমতি শিশুরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা, নিপীড়ন এবং বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মঈন খান বলেন, ‘আজকে এই জাতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমি বলতে চাই না আজকের এই সরকার বিগত ৯ বছরে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কিন্তু আমি যদি নাও বলি তাদের কর্মকাণ্ডে কিন্তু এটাই প্রমাণিত হয়েছে। তাদের এই ব্যর্থতাই আজ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘কয়েকজন প্রশ্ন করেছে আজ এই ছাত্ররা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির ড্রাইভারদের লাইন্সেস দেখতে চাচ্ছে- এটা ঠিক কিনা? আমি বলব, যারা আজ দেশ পরিচালনা করছে তারা যদি ব্যর্থ না হতো তাহলে তো ছাত্ররা রাস্তায় নামতো না। আন্দোলন করতো না। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই জনগণও আজ রাস্তায় নামছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্ররা বুঝতে পেরেছে এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ব্যর্থ তাই তারা রাস্তায় নেমে সরকারকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। তারা সরকারের অত্যাচার অনাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। যা গত দুই-তিন দিন রাজধানীতে দেখা গেছে। এটা কোনো আকস্মিক বিষয় না, এটা মানুষের ক্ষোভ ও দুঃখেরই বহিঃপ্রকাশ।’
মঈন খান বলেন, ‘এই কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলনের ভাষা তাদের দুঃখ-কষ্ট যদি আমরা বুঝতে না পারি, যদি তাদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে সেটা আমাদের জন্যও ব্যর্থতা।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যেই সত্য কথা বলবে তাকেই মামলা দিয়ে দাবিয়ে রেখে একনায়কতন্ত্র কায়েম করবে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না এটা প্রমাণিত হয়েছে এই কোমলমতি শিশুদের আন্দোলনের মাধ্যমে। দেশের জনগণ একদিন জেগে উঠবে আর সেদিন এই সরকার পালানোরও রাস্তা খুঁজে পাবে না।’
আয়োজক ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ এর সভাপতিত্বে ও সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
(জাস্ট নিউজ/একে/২১০৭ঘ.)