ভুয়া এনআইডি জমা দেন তিনি

বয়স জালিয়াতি করে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মো. ইব্রাহিম

বয়স জালিয়াতি করে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মো. ইব্রাহিম

ঢাকা, ১৯ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বয়স জালিয়াতি করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মো. ইব্রাহিম। সভাপতি পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তার জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে গত ৪ মে খবর প্রকাশ করেছিল নতুনসময় ডটকম। এবার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার বয়স জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম। এরপর থেকেই বিষয়টি এখন আলোচনার তুঙ্গে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য বয়সসীমা ২৮ বছর করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইব্রাহিমের প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সম্মেলনের দিন পর্যন্ত তাঁর বয়স ২৯ বছর পেরিয়ে যায়। এ কারণে বয়স ২৮ বছরের মধ্যে রাখতে সভাপতি পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ভুয়া এনআইডি জমা দেন তিনি।

গত ১১-১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন হয়। এর প্রায় তিন মাস পর কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয় গত ৩১ জুলাই। এর আগে বিষয়টি নিয়ে তথ্য-প্রমাণ সহ ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীর সার্টিফিকেট জালিয়াতি শীর্ষক শিরোনামে খবর প্রকাশ করে নতুন সময়। যেখানে সার্টিফিকেট জালের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রও নকলের চাঞ্চল্যকর তথ্যটি ওঠে আসে।

এদিকে ইব্রাহিমের ফরমের ক্রমিক নম্বর ২২। ফরমে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার নাম মো. ইব্রাহিম। বাবার নাম মো. ইউনুস আলী। মায়ের নাম মেহেরুন নেছা। ইব্রাহিমের জন্মতারিখ দেওয়া ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। প্রকৃতপক্ষে মো. ইব্রাহিমের বাবার নাম মো. আদম আলী পাত্তর। মায়ের নাম শাহানারা আক্তার। তাঁর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৮৯। এই জন্মতারিখ অনুযায়ী তাঁর বয়স ২৯ বছরের বেশি।

অপরদিকে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে নগর উত্তরের সভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, সবকিছুই তো জানেন। বাদ দেন না বিষয়টা। একটা ভুল হয়ে গেছে।

ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন নুসরাত জাহান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ অমূলক। আমরা যখন যাচাই-বাছাই করেছি, তখন এ ধরনের কোনো বিষয় সামনে আসেনি। এলে তা বাতিল করে দিতাম।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪০০ঘ.)