আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে অগণতান্ত্রিক কাজে বাধ্য করেন এমপি-মন্ত্রীরা: বি. চৌধুরী

আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে অগণতান্ত্রিক কাজে বাধ্য করেন এমপি-মন্ত্রীরা: বি. চৌধুরী

ঢাকা, ২৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : দেশে আইনের শাসন বলে কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার কুড়িল বিশ্বরোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করলো, এই শিক্ষার্থীদের ওপর যারা প্রকাশ্যে হামলা চালালো তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হলো। এমন ঘটনার পর দেশে আইনের শাসন আছে বলার যাবে, প্রশ্ন রাখেন দেশের সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, একমাত্র ভারসাম্যের রাজনীতিই স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে পারে। নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দেশে স্বেচ্ছাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, ইতিহাস আমাদের এ শিক্ষা দেয়।

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, ইতিহাস বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় একদলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়িয়ে দেয়। রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সরকার দেশের স্বার্থের বদলে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। এতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে স্বেচ্ছাচারের মাধ্যমে একটি দলের স্বার্থ উদ্ধারের প্রবণতা বন্ধ হবে।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাদের এটাও বুঝতে হবে, ভবিষ্যতে ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের অপবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু সেসবের জন্য মূলত রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরাই দায়ী। কারণ তারা ওই বাহিনীগুলোকে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ করতে বাধ্য করেন। আসলে এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য হুকুমদাতারাই অপরাধের মূলহোতা এবং তারাই মূলত এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ, মাহবুব আলী, সাহিদুর রহমান, শাহ আহম্মেদ বাদল, মাহফুজুর রহমান, শাহ আলম, বিএম নিজাম, ওবায়দুর রহমান মৃধা, আসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮২৮ঘ.)