স্বৈরশাসনের ব্ল প্রিন্ট বর্তমান শাসনতন্ত্র: ব্যারিস্টার মঈনুল

স্বৈরশাসনের ব্ল প্রিন্ট বর্তমান শাসনতন্ত্র: ব্যারিস্টার মঈনুল

ঢাকা, ৩১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : দেশের বর্তমান শাসনতন্ত্রকে স্বৈরশাসনের ‘ব্ল প্রিন্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হয় না। সেটা পাকিস্তান, ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কোথাও না। অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শাসনতন্ত্রকে এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে, সেখানে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভোটের দরকার নাই। জনগণের ভোট ছাড়া এমপি, মন্ত্রী সব হতে পারে। ফলে একটা বড় সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, গোটা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর শাসনতন্ত্রকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে, সেটিই এখন সমস্যার সৃষ্টি করছে।

বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসাইন হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

ব্যারিস্টার মঈনুল বলেন, আওয়ামী লীগকে দিয়ে এটি করিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের বন্ধু না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ এই অবস্থায় গণতান্ত্রিক পার্টি হিসেবে জীবিত থাকতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে গণতান্ত্রিক পার্টি হিসেবে, এই দল গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু আজকে যে শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে, এটা একটা স্বৈরশাসনের “ব্ল প্রিন্ট”। এই ‘ব্ল প্রিন্টের’ ফলে আওয়ামী লীগের যে গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি ছিল সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া, বঙ্গবন্ধু গড়ে গিয়েছিল তা ক্ষুন্ন হয়েছে। এর আগেও বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে এমন কাজ করানো হয়েছে যেটা তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেন না। তিনি বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপতিকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা নিয়ে গেলেন, সংবাদপত্রের নিয়ে গেলেন। আজকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পিঠে সে ভূত ওঠেছে। শেখ হাসিনার উচিত এই ভূত তাড়ানো। নাহলে দেশে বিরাট সঙ্কট আছে।

শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের শিকার মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এমন ষড়যন্ত্র করে কাজ করা হয়েছে। এই শাসনতন্ত্র দিয়ে আওয়ামী লীগ মারা যাবে। আজকে যদি সংসদ ভেঙে দেয় তাহলে নির্বাচিত সরকার থাকছে না। শেখ হাসিনা থাকতে পারবে না। কারণ নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে শাসনতন্ত্রে।

একারণে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবে না। আবার সংসদ বহাল রেখে, সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

আওয়ামী লীগের ভয় কিসে এমন প্রশ্ন রেখে মঈনুল হোসেন বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় না থেকে নির্বাচন করতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ এতজনপ্রিয় দল দাবি করে তারা ক্ষমতায় না থেকে কেন নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে জনগণের সাথে সম্পর্ক জনগণের ভোট দেয়ার প্রশ্ন। আপনি ক্ষমতায় থেকে আপনি সংসদ রেখে ভোট করতে চাইবেন। যে দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও নাই। একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পারলে আমি এখনি এখান থেকে (টকশো) হেটে চলে যাব।

আজকে আওয়ামী লীগের একটা সেইফ এক্সিট দরকার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার এই ছেলে বলেন, তাদের উচিত ছিল সবাইকে ডেকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করার চিন্তা করা। সিনিয়র ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকলে এটিই করতো। তারা সকলকে ডাকতো, বলতো আসো হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সমঝোতার মাধ্যমে একটা নির্বাচন করি। সেই প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া দরকার। আওয়ামী লীগ এখন এত বড় একটা অসহনশীল সরকার হয়ে গেছে, মনে করে ওর সাথে কথা বলবো না, ওর সাথে কথা বলবো না। যেন রাষ্ট্রটা তার জমিদারি সম্পত্তি। ও রাষ্ট্রদ্রোহী ও রাজাকার। এটা আপনার দায়িত্ব না। এটা ঠিক করবে জনগণ। সে দায়িত্ব তাদের দেন না। একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। জনগণ ঠিক করবে কে রাজাকার, কে রাষ্ট্রদ্রোহী।

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে জানিয়ে দেশের অন্যতম প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, নির্বাচন হবে কিনা এ বিষয়ে এখন অনিশ্চয়তা আছে। আওয়ামী লীগ নিজেও এসম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না। শাসনতন্ত্র এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে এরজন্য পার্লামেন্টে যেতে হবে এটাকে পাস করাতে হবে। ওদিকে আবার হাইকোর্টে অবজারভেশন দেয়া আছে। এরফলে এমন একটা সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে যে, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের অভাবে এটা হয়েছে। এটা যারা করেছে তারা আওয়ামী লীগকে একটা স্বৈরশাসকের চিত্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যা আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। এই শাসনতন্ত্র রেখে আপনি ইচ্ছা করলেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এখন নির্বাচন চাওয়া মানে আওয়ামী লীগের উৎখাত চাওয়া নয়। আওয়ামী লীগ এতো উন্নয়নের কথা বলে, কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। নির্বাচনে তো জনগণ ভোট দিবে। সেই দল কেন সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে নির্বাচন করতে ভয় পাবে?

রাজনীতিতে কোন সঙ্কট আছে কিনা বা সমাধান কি উপস্থাপকের এমন প্রশ্নে মঈনুল হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়। এটা একটা সিস্টেম। এই সিস্টেমকে সমুন্নত রাখা হলে কারো বির্তক থাকবে না। আমাদের একটা শাসনতন্ত্র আছে, পার্লামেন্ট সিস্টেম আছে। পার্লামেন্টারি সিস্টেমে কিভাবে নির্বাচন হয় সে হিসেবে নির্বাচন হতে হবে। এখানে এমন সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে যে, আপনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিবেন না, আপনি নিজে ক্ষমতায় থাকবেন, নিজে শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করেছেন। আগে যে ধারাবাহিকতা ছিল পার্লামেন্টারি সিস্টেমে সেটা পরিবর্তন করেছেন। অথচ উচিত ছিল অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের অধীনে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে করা। কিন্তু নিজেরা পরিবর্তন করে নিয়েছেন।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা কোথায় আছে পার্লামেন্ট রেখে নির্বাচন করে? আওয়ামী লীগ শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে তারা এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যারা এটি করিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের বন্ধু না।

ব্যারিস্টার মঈনুল বলেন, ভারতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে করেন। সংসদ রাখবো, নিজের ইচ্ছামত শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে নেব, এটা করে যদি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা আসতো তাহলে আমরা সবাই খুশি হতাম। কিন্তু এটা করে তো সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট সঙ্কট আসছে। তারা সরকার ভালভাবে চালাতে পারছে না। জনগণের ভোট ছাড়া সরকার গঠন করলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে না। কর্মকর্তারা সবাই গণবিরোধী হয়ে যায়। জবাবদিহিতা থাকার অর্থ হলো সকলে মনে করবে জনগণের। মন্ত্রীরা মনে করে নির্বাচন ছাড়াই জিততে পারি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করলে সকলে মনে করে কিসের জনগণ, আমার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্পর্ক আছে। আমি নির্বাচিত হয়ে যাব। ফলে আজকে গোটা সরকারই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। কোন মন্ত্রণালয় ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে ভরে গেছে। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে দুর্নীতি নাই। কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটা বিরাট চক্রান্ত। বাংলাদেশের ঐক্য নষ্ট করা, সকলে একত্রে থাকুক, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করুক এটা যারা চায়না তারাই এটা করাচ্ছে।

আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে মঈনুল হোসেন বলেন, আমি অবাক হই, আজকে আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আবার বলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি রাজাকার আছে। কেন পাকিস্তানি আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বাংলাদেশের সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। উন্নয়নের রাজনীতি আইয়ুব খান করেছে। উন্নয়নের কথা বলে কি সে থাকতে পেরেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার কিভাবে গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে সেই উন্নয়নের রাজনীতির কথা বলে।

গণেশ উল্টে গেলে কি হবে এমন প্রশ্ন রেখে এই আইনজীবী বলেন, রাজনীতিবিদদের দুরদর্শি হতে হয়। আজকে যদি কোন কারণে গণেশ উল্টে যায় আর কালকে আপনাকে একইভাবে জেলে আটকে রাখলে কেমন লাগবে এটাও চিন্তা করা দরকার। ক্ষমতায় ইচ্ছা করলেই থাকা যায় না। সুস্থ্যভাবেও যেতে পারেন, অসুস্থ্যভাবেও যেতে পারেন।

তিনি বলেন, বিচারবিভাগের দুর্বলতার কারণে এই সরকার ও বিচার বিভাগ আক্রান্ত হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ভয়-ভীতির কারণে দুর্বল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী আল্লাহর রহমতে হয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিভাবে ৮০জনকে জামিন দিল তা দেখতে হবে। আশ্চর্য, জামিন পাওয়া তার অধিকার। আপনি পুলিশ দিয়ে আটকে রাখবেন, বিনা বিচারে বন্দি রাখবেন এটা কি আইনের শাসন নাকি। এটা আইনমন্ত্রীর কথা হতে পারে নাকি। কোর্ট তাদেরকে ভয় পায়। সকলে ভয় পেয়ে সরকারের ১২টা বাজাচ্ছে। কিছু লোক মিলে বাংলাদেশকে একটা লুটপাটের জায়গা পেয়েছে। শেখ হাসিনাকে আজকে সাহায্য করার মতো সত্যিকারের লোক নাই।

নানা রাজনৈতিক মেরুকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করছে তাদের ভেতরে রাজনৈতিক চিন্তাধারা নাই। ফলে তারা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে না, কম্প্রোমাইজ করতে পারে না। আগে আওয়ামী লীগের এতো গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ছিল, সেই ইতিহাস কিভাবে ধ্বংস করে দেয়া হলো। কারা এটা করলো? এ কে ফজলুল হক সাহেবকে নিয়ে এসে যুক্তফ্রন্ট করলো আওয়ামী লীগ। সব সময় সংগ্রাম করেছে তারা, নির্বাচনে তাদের দল মেজরিটি ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করা হলো ফজলুল হককে। আজকে এই বিষয়টা কল্পনা করা যায়। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বলবে কোন ছোট পার্টির কাউকে আসুন আপনাকে প্রধানমন্ত্রী করবো। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা করবো। আজকে এই চিন্তাভাবনা নাই। আজকে আমাদের এমন ঐক্য দরকার যে ঐক্য শাসনতন্ত্র রক্ষা এবং প্রতিষ্ঠা করবে। শাসনতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, এখন সংসদীয় শাসনতন্ত্র নাই। এটা ইচ্ছামত পরিবর্তন করে গন্ডগোল বাধানো হয়েছে। এটা পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক চরিত্র ধ্বংসের শাসনতন্ত্র করা হয়েছে। যারা করেছে তারা চালাকি করেছে। শাসনতন্ত্র বদলের কথা বলছেন কিনা এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, নিশ্চয়ই। নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য পরিবর্তন দরকার। শাসনতন্ত্র হলো একটা ব্যবস্থা। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিজের মতো করে যেটা পরিবর্তন করেছেন সেটা পরিবর্তন করতে হবে। ভারতের মতো নির্বাচন তো আপনি করতে পারবেন না। কারণ শাসনতন্ত্রে সেটা নাই।

সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় কি এমন প্রশ্নে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থা না মেনে গায়ের জোরে এককভাবে যদি শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে বলেন আমি ক্ষমতায় থাকবো, পার্লামেন্টে থাকবো যেটা পৃথিবীর কোথাও দৃষ্টান্ত নাই। এটা গায়ের শক্তির কথা। গায়ের শক্তি যাদের আছে তারা প্রয়োগ করবে। যারা গণতান্ত্রিক, জনগণের আস্থার সরকার হয় তারা সব জায়গায় ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ায় না। যে সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নাই সে সরকারে সব সময় একটা অস্থিরতা থাকে। এই সরকার একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে তারা যদি উত্তোরণ করতে না পারে তাহলে তাদের ধ্বংস তারা নিজেরাই আনবে। সঙ্কট দূর করতে না চাইলে, ইচ্ছা না থাকলে গায়ের জোর দেখাতে চাইলে অন্যরাও গায়ের জোর দেখাতে চাইবে, দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র হবে। মনে রাখতে হবে শাসনতন্ত্র বন্ধু। এটাকে সমুন্নত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনার সরকার খুব ভালভাবে চালাতে পারতেন। যদি বিচারবিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিত, সংবাদপত্রের ঠিকমত কাজ করতে দিত, পার্লামেন্টে একটা বিরোধী দলকে পালা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমরা, এমনকি হাসিনাও আন্দোলন করেছে। সেই এরশাদের সাথে তার আতাত হয়েছে। ক্ষমতায়ও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো, আশ্চর্য! রাষ্ট্র চালানোটা কি কি কোন ছেলে খেলা নাকি? রাষ্ট্র চালানো মানে বাঘের পিঠে থাকা। সাবধানে থাকতে হয়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২০০ঘ.)