৬ নারী ধর্ষণকারী সেই ছাত্রলীগ নেতা অবশেষে গ্রেফতার

৬ নারী ধর্ষণকারী সেই ছাত্রলীগ নেতা অবশেষে গ্রেফতার

শরীয়তপুর, ২৬ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্ষা ব্রিজ এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরিফ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী নারীদের একজন ১১ নভেম্বর আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। একই দিন আরিফকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল হাসান বলেন, আরিফ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে গোসাইরহাট আসছিল। তিনি তার বাবা ও মামার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করছিলেন। ওই ফোনের কল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। পদ্মা ও মেঘনা নদী পাড় হয়ে জয়ন্তিয়া নদীতে প্রবেশ করলেই পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে ভেদরগঞ্জ থানায় নেয়া হচ্ছে। পরবর্তিতে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হবে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরিফ হোসেন হাওলাদার। তিনি ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে ও স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। তিনি ফাঁদে ফেলে ছয় নারীকে ধর্ষণ করে। এসব ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারণ করে রাখে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ১১ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগ আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী এক নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করে। এরপর থেকে আরিফ পলাতক ছিল।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯২৭ঘ.)