পিরোজপুর-১ আসন

শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে হামলা-গুলি, আহত ৩

শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে হামলা-গুলি, আহত ৩

ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশী শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে হামলা ও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে শহরের দামোদর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন সামান্য আহত হন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।

জানা গেছে, শেখ এ্যানি রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তিনি পিরোজপুর-১ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এনায়েত হোসেন খানের মেয়ে। তিনি পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশী হিসেবে কয়েক মাস ধরে গণসংযোগ করছেন।

মঙ্গলবার রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে পিরোজপুর যান। এ সময় কয়েক শত নেতা-কর্মী মোটরশোভাযাত্রা করে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে টুঙ্গিপাড়া থেকে পিরোজপুরে নিয়ে যান। গাড়িবহরটি রাত আটটার দিকে শহরের দামোদর সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত গাড়িবহরে হামলা করে। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহরে থাকা পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে শেখ এ্যানি রহমানের গাড়িবহর শহরে প্রবেশ করার সময় দামোদর সেতু এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তারা এ্যানি রহমানের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে এ্যানি রহমানের স্বামী শেখ হাফিজুর রহমান তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং তাঁদের এক দেহরক্ষী শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এ্যানি রহমান অভিযোগ করেন, আমার গাড়ি লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় আমার সামনের গাড়িতে থাকা আমার স্বামী তাঁর পিস্তল দিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি করে। এরপর লোকজন ছুটে এসে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করলে ওরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করছে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে বাইরে থেকে গুলির আলামত পাওয়া যায়নি। এ্যানি রহমানের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা গুলি ছুড়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি আরো নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৩১ঘ.)