ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের বিবৃতি

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রাখা এবং গুরুতর অসুস্থ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়- হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের এ নির্বতনমূলক আচরণের আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। কারণ বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের একজন জেষ্ঠ্য নাগরিক। তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

আমরা মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়ে সরকার একটি নিন্দনীয় ও কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আমরা উদ্বেগের সাথে এটিও লক্ষ করছি যে, আবারো আর এক মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার জন্য অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের নামে প্রহসনের চেষ্টা চলছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে তাকে এবং বিএনপিকে বিরত রাখার অপকৌশল হিসেবেই এসব করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে বলা হয়- আমরা জানতে পেরেছি যে, গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে তার বড় রকমের শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এমনটি হোক এটি কারো কাম্য নয়। তাই বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাকে অতি দ্রুত বিশেষায়িত ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করাসহ তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তার আলি, মো. আল আমিন, ড. এএসএম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ, ড. নূরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মো: আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আহমদে জামাল আনোয়ার, মো. মাহফুজুল হক, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়–য়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. মো. আসলাম হোসেন, রাশীদ মাহমুদ, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, ড. বোরহান উদ্দীন খান, ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার টফি, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, অধ্যাপক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. নেভিন ফরিদা, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, ড. মোঃ আবদুর রব, কাওসার হোসেন টগর, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, এমএ কাউসার, দেবাশীস পাল, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, ড. মহব্বত আলী, ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোঃ মেহেদী হাসান খান শহ দুই শতাধিক শিক্ষক।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০৪৬ঘ.)