সুস্থ না হলে আদালতে যাবেন না খালেদা জিয়া: আইনজীবী

সুস্থ না হলে আদালতে যাবেন না খালেদা জিয়া: আইনজীবী

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কে অংশ নিতে চান। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারছেন না। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়।

বুধবার বিকালে কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে বসে বিচার কাজ শ্রবণ করার মতো সুস্থ নন বলেই গত দুটি তারিখে কারাগারে স্থাপিত আদালতে আসেননি। এই আদালতের ওপর তার আস্থা আছে। কিন্তু আদালতে হাজির হওয়ার মতো শারীরিক সুস্থতা তার নেই। বেগম খালেদা জিয়া দুদিন আগেও কারাকক্ষের বাথরুমে পড়ে গেছেন। সুস্থ না হয়ে আদালতে কী করে যাবেন বলে প্রশ্ন রেখেছেন বেগ খালেদা জিয়া। সুস্থ হওয়া সাপেক্ষে তিনি আদালতে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

মাসুদ উদ্দিন তালুকদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি গত দুটি তারিখে অসুস্থ ছিলাম। এ কারণে আদালতে যেতে পারিনি। জেল কর্তৃপক্ষ আমার বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। আমার ছেলে ও মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতেও না খেয়ে আমি সারাদিন আদালতে উপস্থিত ছিলাম। আমি কখনো আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করিনি। আমি নিজে হাঁটতে পারি না। খাওয়া-দাওয়া করতে পারি না। এ মুহূর্তে আমার জরুরি দরকার হলো চিকিৎসা। আমি সুস্থ হয়ে আদালতে যাব এবং মামলা মোকাবিলা করব।

কারাগারে নিজের কক্ষের সামনে হুইল চেয়ারে বসে আইনজীবীদের এসব কথা বলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিকাল সোয়া ৪টার কারাগারে প্রবেশ করেন তার আইনজীবীরা। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তার দুই আইনজীবী। মঙ্গলবার বিকালে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় কারা ফটক থেকেই ফিরে যান তাঁরা।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা যুক্তিতর্কে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার চত্বরে স্থাপিত আদালতের শুনানিতে অংশ নেবেন কি না, এ বিষয়ে জানতে দুই আইনজীবীকে অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান এ আদেশ দিয়ে মামলার কার্যক্রম ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫৭ঘ.)