ভোলায় বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হামলা, আ’লীগ কর্মী রক্তাক্ত যখম

ভোলায় বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হামলা, আ’লীগ কর্মী রক্তাক্ত যখম

ভোলা, ২২ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ভোলায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে দুলাল খনকার নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে তার সমর্থক ও রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজান খাঁ এর নির্দেশে যুবলীগ নেতা বাকের মৃধা ও নাসির সরদার মিলে শনিবার সকালে দুলাল খনকারের ওপর হামলা করে। এসময় তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।

এ বিষয়ে ভোলা সদর ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন জাস্ট নিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম নাজু জমাদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল পালোয়ান, সালেম মেম্বার, যুবলীগ নেতা ইউসুফসহ ১৫-২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল (রাজাপুর আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মী) বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বনানীর বাসায় যান। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তাদেরকে বলেন, ‘তোদের আর আওয়ামী লীগ করার দরকার নাই। আমার রাজাপুরের ভোটও দরকার নাই। তোরা বিজেপি কর।’ এসময় তিনি তার বাসায় যাওয়া নেতা-কর্মীদেরকে ঘর থেকে বের করে দেন। এর পরদিনই দুলাল খনকারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।

এ বিষয়ে জননেতা হেমায়েত উদ্দিন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নে চলতেছে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মিদের নিধন অভিযান। শনিবার সকালে রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে দুলাল খনকার নামে একজনকে বেধড়ক ভাবে প্রহার করে করেছে। তার অপরাধ শুক্রবার ঢাকাতে বানিজ্যমন্ত্রীর বাসায় হাইব্রিড আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে রাজাপুরের ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল।

বাণিজ্যমন্ত্রী তাদের অভিযোগ না শুনে তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল এবং বলেছিল ‘রাজাপুরের ভোট তার লাগবে না, তাদের সবাইকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিতে (বিজেপি-ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ) যোগ দিতে বলেছিল। থানা পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল’ যার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে এ হামলা হয়।

এদিকে আহত দুলাল খনকার হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে পারেনি, পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজাপুরের পরিবেশ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এর থেকে মানুষ প্রতিকার চায়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২০২৬ঘ.)