ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন: ড. কামাল হোসেন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন: ড. কামাল হোসেন

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ক, সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংসদে পাস করানো আইন চাইলে ফেলও করানো যায়। যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাতিলে বাধ্য করা হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হোক। আমরা সংসদে সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, কালো কোর্ট পরে যারা দুর্নীতি করে আবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাও জানায় তারা মোনাফেক। কোরআনে আছে কাফেরদের চাইতেও মোনাফেক খারাপ।

এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে পুলিশের পাশে সাদা পোশাকধারী লাঠিয়াল কারা, জনগণকে লাঠিপেটা করেছে যারা তারা কারা? এ কাজগুলো সংবিধান পরিপন্থী। এদের আইনের আওতায় আনা হোক।

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য জাতীয় ঐক্য জরুরি। এটা কোনো দলের নয়। এটা দেশের আপমার জনগণের ঐক্য। রাস্তায় না নামলে সমস্যার সমাধান হবে না। রাস্তায় না নামলে সরকার মনে করে কিছু হবে না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে দেশে গণতন্ত্র থাকে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি অসভ্য আইন। এর চাইতে খারাপ কোনো আইন আর হতে পারে না। বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে হলে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ মানে ফ্যাসিজম। এটাই এখন বাংলাদেশ চলছে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য শুধু নয়, সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতাও হরণ করেছে।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন, সৈয়দ আবদাল আহম্মেদ, রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, পারভীন সুলতানা ঝুমা, জাহিদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২০৪২ঘ.)