স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার শুনে বিয়ের কথাই অস্বীকার করণে আ’লীগ নেতা

স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার শুনে বিয়ের কথাই অস্বীকার করণে আ’লীগ নেতা

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এক পোশাক শ্রমিককে বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বাদশা মিয়া। তিনি উপজেলার নান্নার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরের ২১ তারিখে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নান্নার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে আমাকে বিয়ে করেন। পরে তার ব্যবসাজনিত কারণে আশুলিয়া থানা এলাকায় বাসা ভাড়া করে আমাকে রাখতেন। তিনি প্রায় রাতেই আমার কাছে থাকতেন। পরে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি আমার কাছে আসা বন্ধ করে দেন।’

ওই নারী আরো বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বার বিষয়ে জানার পর থেকে আমার ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন চেয়ারম্যান এবং আমার বাচ্চা নষ্ট করার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ে করার কথাও অস্বীকার করেন। বর্তমানে আমি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এজন্যই থানায় মামলা করেছি।’

তবে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই নারীর গর্ভের সন্তান আমার নয়।’ তিনি বলেন, ‘ওই মেয়ের চরিত্র ভালো না। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্যই এমন নাটক করছে।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়া বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে নান্নার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এমআই