শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘কুকুর থেরাপি’!

শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘কুকুর থেরাপি’!

ঢাকা, ১৫ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : লেখাপড়ার চাপে বড়ই অস্থির? এ অস্থিরতা না কমালে সত্যিকার অর্থে পড়াশোনা মস্তিষ্কে ঢুকবে না। কিন্তু এর সমাধান দিলো নতুন এক গবেষণা। তাতে বলা হয়, কুকুরের সঙ্গে কিছু সময় কাটালে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বা লেখাপড়ায় ভালো করবে।

গবেষকরা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো জন্যে ‘কুকুর থেরাপি’ দারুণ কাজের। ইতিমধ্যে পশ্চিমের ক্যাম্পাসগুলোতে এই ডগ থেরাপি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গবেষণাদলের সহকারী এবং প্রধান গবেষকএমা ওয়ার্ড-গ্রিফিন বরেন, কুকুর থেরাপির ইতিবাচক দিকগুলো অনেক স্পষ্টাভাবে ফুটে ওঠে। বিশেষ করে স্ট্রেস কমানো এবং নেতিবাচক চিন্তা দূর করার ক্ষেত্রে তা ওষুধের মতো কাজ করছে।

এর আগে সংশ্লিষ্ট আরেক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ছাত্রীরা ডগ থেরাপির মাধ্যমে ছাত্রদের চেয়ে বেশি উপকার পায়। কিন্তু নয়া গবেষণায় দেখা গেছে, উভয়ই সমান সমান লাভবান হয়। ক্লাসের বাইরে যখন শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট বা লেখাপড়ার অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন এই ডগ থেরাপি খুবই কাজের বলে প্রমাণিত হয়েছে।

স্ট্রেস অ্যান্ড হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এ কর্মে ২৪৬ জন শিক্ষার্থীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। কুকুর থেরাপির আগে ও পরে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে স্পষ্ট পার্থক্য উঠে আসে গবেষণায়। থেরাপির আগে ও পরে বিশেষ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষার্থীরা। থেরাপির পর শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উৎপাদনশীল হয়ে ওঠেন। তাদের পরীক্ষাভীতি দূর হয়ে যায়। স্ট্রেসে তাদের খোয়ানো প্রাণশক্তি নিমিষেই ফিরে আসে।

এমনিতেই মানুষ পোষা প্রাণীদের ভালোবাসে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেও পছন্দ করে। কাজেই তা যদি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়, তাহলে উপকার তো মিলবেই।

অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ফ্রান্সেস চেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর এই সেশন প্রয়োগ করা হলে স্বল্পমেয়াদে উপকার মিলবে। এতে করে লেখাপড়া সংক্রান্ত দুঃসময় অন্তত চলে যাবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪২৫ঘ.)