রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাধানে পৌঁছতে হবে

বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচন হয়নি, এটা স্পষ্ট: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচন হয়নি, এটা স্পষ্ট: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

জাতিসংঘ সংবাদদাতা

স্পষ্টতই বাংলাদেশে কোনো সঠিক নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেস। দেশটির সকল রাজনৈতিক পক্ষকে এ বিষয়ে কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ইতিবাচক দিকটি বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর সংলাপে বসার গুরুত্বের কথাও তোলে ধরেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, অনিয়ম আর সার্বিক পরস্থিতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন আন্থোনিও গুতেরেস।

২০১৯ সালকে সামনে রেখে মহাসচিব গুতেরেসের কর্মপন্থা সম্পর্কে ধারণা দিতে বিশেষ এই ব্রিফিং’র আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ব্রিফিং রুমে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং জাতিসংঘ সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজলকে প্রশ্নের জন্য আহবান করলে জানতে চান-
“মি: মহাসচিব, আপনি নিশ্চয় জানেন কারচুপি, ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি, বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপর্যপুরি আক্রমণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিরোধীদলগুলো নির্বাচনের এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরকেও যথাযথভাবে বাংলাদেশে যাবার সুযোগ দেয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত ১৭টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়নি ক্ষমতাসীন সরকার। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? পুরো পরিস্থিতির সার্বিক তদন্তে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আপনি কী বাংলাদেশে বিশেষ কোনো দূত বা দল পাঠাবেন?”

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “আমি আগেও বলেছি ( সাংবাদিক জামাল খাসগির তদন্ত সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে) আমি এভাবে সরাসরি কোনো তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিনা।”

নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি স্পষ্ট মন্তব্য করে আন্থোনিও গুতেরেস বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন সঠিক হয়নি, এ বিষয়টা এখন স্পষ্ট। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষকে আমরা উৎসাহ জানাই তারা যেনো এ নিয়ে কার্যকর সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধানের উপায় বের করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইতিবাচক হতে হবে।”

মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অনেক সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যতম অংশীদার একটি দেশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করতে হয়। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখানোর জন্য দেশটির প্রতি আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।”

জিএস