ওয়াশিংটন থেকে বিশেষ সংবাদদাতা
বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে কারচুপি, ভয়প্রদর্শন এবং সহিংসতার যেসব কর্মকান্ড ঘটেছে তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। আর নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ পুর্নব্যক্ত করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা আবারো স্পষ্ট করে জানান দিলেন ইউএসএআইডি’র পরিচালক মার্ক গ্রিন।
বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও উঠে আসে রোহিঙ্গা, জুলহাস মান্নান হত্যাকান্ডসহ দ্বি-পাক্ষিক অংশীদারিত্বের অন্যান্য বিষয়গুলো। বৈঠকের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র টম ব্যাবিংটন বিবৃতির একটি কপি জাস্ট নিউজকে প্রেরণ করেন।
মার্কের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংকট এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার বিষয়ক পরবর্তী সম্মেলন নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার জন্য বৈঠকে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে যেসব কারচুপির ঘটনাগুলো ঘটেছে, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সে উদ্বেগের বিষয়টি জানান দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এক সময়কার প্রভাবশালী সদস্য মার্ক গ্রিন।
ইউএসএইডের কর্মকর্তা জুলহাস মান্নানের বিচার নিশ্চিতের তাগাদা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে মার্ক গ্রিন তিন বছর আগে ঢাকায় নির্মমভাবে নিহত ইউএসএইডের কর্মকর্তা জুলহাস মান্নানের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের তাগিদ ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, নাগরিক বান্ধব সরকার, সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতের বিষয়ে বৈঠকে গুরুত্ব আরোপ করেন মার্ক গ্রিন।
জিএস/