রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার রাজিয়া পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী সাহসিকতা পুরস্কার

রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার রাজিয়া পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী সাহসিকতা পুরস্কার ফাইল ফটো

স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা এবং মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকতা (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ-আইডব্লিউওসি) পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিক রাজিয়া সুলতানা।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে বার্ষিক আইডব্লিউওসি পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১০ জন নারীকে তাদের অসাধারণ কাজের ভূমিকার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানটির আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও। এতে বক্তব্য রাখবেন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।

শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিশেষ সাহস ও নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন এমন অসাধারণ নারীদের ২০০৭ সাল থেকে এই পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

রাজিয়া সুলতানা ১৯৭৩ সালে মিয়ানমারের মংডুতে রোহিঙ্গা পরিবারে জন্ম নেন। মিয়ানমারে নিজের সম্প্রদায় ও সকলের মানবাধিকারের অগ্রগতির জন্য তিনি তার পুরো কর্মজীবন উৎসর্গ করেছেন।

সুলতানা জীবনের বেশিরভাগ সময় আইনজীবী, শিক্ষক এবং মানবাধিকার পরামর্শক হিসেবে কাটিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি রোহিঙ্গা, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। তিনি রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের নির্যাতন, গণধর্ষণ, পাচার, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশে বসবাসরত কয়েকশ’ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন এবং রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী যৌন সহিংসতামূলক দুটি প্রতিবেদন ‘উইটনেস টু হরর’ এবং ‘রেইপ বাই কমান্ড’ প্রকাশ করেন।

জিএস/