স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা 

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, লক্ষ্যপূরণে সরকার-বিরোধীদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, লক্ষ্যপূরণে সরকার-বিরোধীদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদদাতা

বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনটি কোনোভাবেই অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিলোনা। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম আর কারচুপির ঘটনা ঘটেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে যথাযথ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডির্পাটমেন্টের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন প্রসঙ্গে জোরালোভাবে দেশটির এমন অভিমত আবারো পুর্নব্যক্ত করলেন মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো। শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডির্পাটমেন্টের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে, গণতান্ত্রিক প্রথা ও প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা, অর্থনৈতিক প্রগতি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধীদলের সাথে একযোগে কাজ করতে চায় যাতে এ লক্ষ্য পূরণে অগ্রসর হওয়া যায়।



ব্রিফ্রিংয়ের শুরুতে মুশফিকুল ফজল জানতে চান, "যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশের বিগত নির্বাচন, অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি। বিরোধীদলগুলো স্পষ্টতই এ নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নেয়নি। বাংলাদেশে ভোটাধিকার আর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে? যেহেতু দেশটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়নি বলে অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।"

জবাবে  মুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো বলেন,"মুশফিকুল আপনি যথার্থই বলেছেন। আমাদের সদ্য প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক রিপোর্টে বলে দিয়েছি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি অবাধ এবং সুষ্ঠু ছিলোনা। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপি হয়েছে, আগেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয়েছে, বিরোধী এজেন্ট এবং ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে।"

তিনি আরো বলেন, "রিপোর্টে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। আর সে সম্পর্কের লক্ষ্য হলো একটি সহিষ্ণু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর থাকবে, থাকবে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। আমরা চাই দেশটির সরকারের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিকতা আরো উন্নতি হোক।"

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির করে এই মুখপাত্র বলেন,"বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন হয়েছে, এর অর্থসূচকেও  উন্নতি হয়েছে। এছাড়া রয়েছে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার সুরক্ষার অতীত ইতিহাস। এগুলো তুলনামূলক লক্ষ্য হতে পারেনা, এর মাধ্যমে আর্থিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে আরো কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকার এবং বিরোধীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।"

/জিএসএস