নিউইয়র্ক থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, ২১ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমাদের ওপর চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনাকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সাহায্যার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রেখে আন্তরিকতার সাথে সম্ভাব্য সকল কিছুই করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বুধবার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নিউইয়র্কের প্যালেস হোটেলে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়মন হ্যানশো।
ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে জাস্ট নিউজ সম্পাদক ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট করসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি জাতিসংঘের ফ্লোরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হয়েছে মর্মে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এ সাক্ষাতের জের ধরে শেখ হাসিনা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তরিক নন। আসলে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর এ মানবিক বিপর্যয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানইবা কি-
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়মন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ় এবং পরিষ্কার। আজ সকালেও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স নিরাপত্তা পরিষদের একটি অধিবেশনে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন। এ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বর্ণনা করার অপেক্ষাই রাখে না। আপনি তা নিজেও প্রত্যক্ষ করছেন। আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি উত্তরণে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গতকালও মিয়ানমার নেত্রী অং সান সূ চি’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আন্তরিক নন এটা মোটেই সঠিক নয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নোয়াট যোগ করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এবং এ সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। আপনি লক্ষ্য করেছেন, সাম্প্রতিক এ বিপর্যয়ের শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। হোয়াইট হাউস এ প্রসঙ্গে আগেই বিবৃতি প্রদান করেছে। আমি নিজেও বিবৃতি এবং আপনাদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। আমরা চাই এ মানবিক বিপর্যয়ের অবসান হোক এবং রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে মর্যাদার সাথে বসবাস করুক।
জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শরনার্থীদের জন্য ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইন রাজ্যে যাতে মানবিক সাহায্য অব্যাহত থাকে সে বিষয়েও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/০১২৩ঘ.)