ঈদের আগেই সব বন্দিদের মুক্তি দেবার তাগিদ

চীনে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

চীনে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতা এবং বর্বর নির্যাতনকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে নির্যাতন ক্যাম্পে আটকে রাখা সকল উইঘুর মুসলিমদের মুক্ত করে দেবার আহবানও জানিয়েছে দেশটি।

মুখপাত্রের দায়িত্ব নিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম অন ক্যামেরা ব্রিফিংএ মর্গান অর্তাগাস এভাবেই মানবাধিকারের পক্ষে দেশটির অবস্থান তুলে ধরেন।

উইঘুরদের উপর নির্যাতনের করুণ চিত্র উপস্থাপন করে ব্রিফিংএ মর্গান অর্তাগাস বলেন, “প্রথমেই আপনাদের রমজানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, রামাদ্বান করিম। রমজান প্রায় শেষের দিকে। আর ঈদ ছুটিও চলে এসেছে। এ সময়টাতে জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর ব্যাপক হারে যে নির্যাতন চালাচ্ছে চীন সরকার সেটা নিয়ে কথা বলা জরুরি। যে স্বৈরতান্ত্রিক এবং বেআইনী পন্থায় ১০ লাখেরও বেশী মুসলামনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শংকিত। বন্দিশালায় নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা, খারাপ আচরণ আর প্রযুক্তির বাড়াবাড়ি রকমের নজরদারির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের দমনমূলক আচরণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

ধর্মের প্রতি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিদ্বেষের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেন, “এরকম নির্যাতনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে চীন সরকার চাইছে তার নাগরিকদের মধ্য থেকে সংখ্যালঘু আর ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের সমূলে উৎপাটন করে দিতে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ধর্মীয় সকল মূল‌্যবোধের প্রতি চরম মাত্রার শত্রুতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করে আসছে। পবিত্র এ মাসে নিষ্ঠুরতা আর অমানবিক আচরণ স্বত্ত্বেও চীনের মুসলিমরা নিজেদের অবস্থানে অটল মনোভাব প্রদর্শন করেছে।”

চীনকে অবিলম্বে দমন-নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানিয়ে মর্গান অর্তাগাস বলেন, “ জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলমানদের ওপর মানবাধিকার লংঘন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটা এখনি করতে হবে। আমরা চীনা সরকারকে আহবান জানাই প্রদেশটিতে যেসব উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের স্বৈরতান্ত্রিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়া হোক। যাতে করে তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে।”

মিয়ানমারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহবান জানিয়ে এই মুখপাত্র বলেন, “মানবাধিকার আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করায় যেসব সাংবাদিকদের নামে মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্র আবারো মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহবান জানাচ্ছে। যেকোনো গণতন্ত্রের বিকাশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জরুরি।”

তিনি বলেন, “মিয়ানমারসহ পৃথিবীর যে প্রান্তেই মতপ্রকাশের পক্ষে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মুক্তি চায়।”

জিএস/