ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব

ওয়াশিংটন থেকে বিশেষ সংবাদদাতা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের জন্য দুটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ডেমোক্রেটিক পার্টি।

মঙ্গলবার হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান জেরি ন্যাডলার এবিষয়ে আনুষ্ঠিন অভিযোগ প্রকাশ করেন। অভিযোগের প্রথমটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দ্বিতীয়টি হলো ইউক্রেন তদন্ত নিয়ে কংগ্রেসের কাজে ট্রাম্পের বাধা সৃষ্টি করা।

এই বিচারপরিকল্পনা মানেই আনুষ্ঠানিক বিচারের শুরু নয়। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাবটি পাস হলেও তা আটকে যেতে পারে উচ্চকক্ষ সিনেটে। কারণ সেটা প্রেসিডেন্ট সমর্থিত রিপাবলিকানের নিয়ন্ত্রণে। আর তাতে ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়া খুব একটা সুবিধা পাবে সেটা অনুমেয় নয়।

ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ন্যাডলারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের চেয়ারওম্যান ম্যাক্সিন ওয়াটারস, হাউস ফরেইন অ্যাফেয়ার্স চেয়ারম্যান এলিয়ট অ্যাঙ্গেল, হাউস ওভারসাইট অ্যান্ড রিফর্ম চেয়ারওম্যান ক্যারোলিন ম্যালোনি, হাউস ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি চেয়ারম্যান রিচার্ড নিল ও হাউস ইন্টেলিজেন্স চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ।

সংবাদ সম্মেলনে জেরল্ড ন্যাডলার বলেন, কেউ, এমনকি প্রেসিডেন্টও আইনের ঊর্ধ্বে নন।

তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। একই সঙ্গে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ফেলেছেন হুমকির মুখে।

হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের জন্য অন্য কোনো বিকল্প রাখেননি। এমন বাস্তবতায় কিছু না করে বসে থাকার সুযোগ নেই।

ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে আসছেন এবং বিচারের এই পুরো প্রক্রিয়াকে পাগলামি বলে মন্তব্য করেছেন।

গত সেপ্টেম্বর মাসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি কংগ্রেসের কাছে অভিযোগ করেন যে অর্থ সাহায্য স্থগিত রাখার প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি টেলিফোন সংলাপ তিনি নিজে শুনেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ১৮৬৯ সালে অ্যান্ড্রু জনসন, ১৯৭৪ সালে রিচার্ড নিক্সন ও ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটন অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। অভিশংসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টই অভিশংসিত হননি।

জিএস/