অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান-আল জাজিরার লোমহর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অভিযোগ গুরুতর, নির্ভরযোগ্য তদন্ত চায় জাতিসংঘ

অভিযোগ গুরুতর, নির্ভরযোগ্য তদন্ত চায় জাতিসংঘ

মুশফিকুল ফজল আনসারী

আল-জাজিরার বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তির দুর্নীতি এবং অবৈধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তাকে গুরুতর অভিযোগ উল্লেখ করে এর নির্ভরযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব কর্মকান্ডে বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিবদেন যে তথ্য উঠে এসেছে তা নিয়ে পুরোপুরি অবগত বিশ্ব সংস্থাটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের অনিয়ম-সন্ত্রাস-দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হবার বিষয়ে আল-জাজিরার করা প্রতিবেদন এবং দেশে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দুর্বৃত্তায়নের আশ্রয় গ্রহণ প্রসঙ্গে জাস্ট নিউজের জাতিসংঘ সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

বাংলাদেশের ক্রমঅবনতিশীল গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে জাস্ট নিউজের এই সংবাদদাতা জানতে চান , "সম্প্রতি আল-জাজিরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুঃশাসন নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আল-জাজিরার এ প্রতিবেদনটি দেশটির কর্তৃত্ববাদী শাসনের ছোট্ট একটি নমুনা মাত্র। শাসকগোষ্ঠী যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। দেশের সর্বশেষ নির্বাচনটা ছিল এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম বড় অংশীদার। সেই প্রেক্ষাপটে আপনি আল জাজিরার এমন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিকে আপনি কী ভাবে মূল্যায়ন করবেন?

লিখিত জবাবে এর আগে দেয়া এসংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরের প্রতি ইঙ্গিত করে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি 'গুরুতর' আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের ওই মুখপাত্র বলেন, "যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এসকল অভিযোগের তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।"

তিনি বলেন, "আল-জাজিরা বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতির যেসকল অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিতভাবে অবগত। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ে বিবৃতিও নজরে এসেছে।"

সেনাবাহিনী ইসরায়েল থেকে নজরদারি করার প্রযুক্তি ক্রয় করেছে মর্মে আল-জারিরার রির্পোট  প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডোজারিক বলেন, "জাতিসংঘের অধীনে প্রতিটি শান্তি রক্ষা মিশনে কিছু আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকে। বাংলাদেশর সঙ্গে প্রতিটি মিশনের ক্ষেত্রে একইরকর্ম আইনগত শর্তের বিষয় রয়েছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যেসকল ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে জাতিসংঘ নিয়মানুসারে তা ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এবং বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিজেন্ট সদস্যদের এমন প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়নি।"

স্টিফেন ডোজারিক আরও বলেন, "শান্তিরক্ষা মিশনে যদি প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করার কোন প্রয়োজন হয় তাহলে তা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের গোয়েন্দা নীতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।মিশন ফোর্স কমান্ডারের অধীনে নিরপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় তার অনুমোদন দেয়া হয়।"