ফোনালাপে মানবাধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বারোপ

দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালেন মোমেন, দেখা পাননি ব্লিংকেনের

দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালেন মোমেন, দেখা পাননি ব্লিংকেনের

ওয়াশিংটন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী 

ঢাকঢোল পিঠিয়ে ওয়াশিংটন এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সরাসরির দেখা করার সুযোগ মেলেনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের। অথচ বাইডেন প্রশাসনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বসবেন, ঢাকার তরফে মিডিয়ায় এমন জানান দিয়েই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে বিমানে বাংলাদেশ ছাড়েন আব্দুল মোমেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারির ঘোষিত সেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি বসার সুযোগ না হলেও ওয়াশিংটনে বসে অ্যান্থনি ব্লিংকেনের সঙ্গে ফোনালাপেই সন্তুষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। দেখা না পেয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালেন তিনি।

জাস্ট নিউজকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মঙ্গলবার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘স্বাধীনতার আসন্ন সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকন।’’

দ্বিপাক্ষিক গতানুগতিক ইস্যু ছাড়াও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপে বাংলাদেশের শ্রম, মানবাধিকার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়।

এতে বলা হয়, ‘‘মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধান, শ্রম এবং মানাবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে গুরত্বারোপ করে ফোনালাপে কথা বলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’’

এসময় দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এসকল বিষয়ের পাশাপাশি ব্লিংকেন-মোমেন ফোনালাপে কথা হয় দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সামরিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু প্রসঙ্গে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক উল্লেখিত বিষয়গুলোতে কাজ করতে ঐক্যমত পোষণ করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’’

কেবি/