বাল্টিক নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদসম্মেলন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমার মতো কঠোর কেউ হতে পারেনি : ট্রাম্প

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমার মতো কঠোর কেউ হতে পারেনি : ট্রাম্প

হোয়াইট হাউস থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, ৩ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ): রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমার মতো কঠোর কেউ হতে পারেনি। রাশিয়ার কূটনৈতিক বহিষ্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ৬০ জনকে বহিষ্কার করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমাদের মতো কেউই রাশিয়ার প্রতি এমন কঠোরতা দেখাতে পারেনি।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ইস্টরুমে সাবেক সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত লাতভিয়া, লিথুয়ানা এবং এস্তোনিয়ার তিন রাষ্ট্রপ্রধানকে সাথে নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদসম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে বাল্টিক এই তিন নেতার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কি যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু না মিত্র- এক সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলি ট্রাম্প জবাব দেন-

“ আমি আপনাদেরকে জানাবো। সামনে জানার সময় আসবে এবং আমি আপনাদের জানাবো। তবে আপনারা খুব দ্রুতই জানাতে চলেছেন।

রাশিয়া ইস্যুতে সুর নরম আর গরম দুটোই লক্ষ্য করা গেলো ট্রাম্পের বক্তব্যে। তিনি বলেন, আমি মনে করি রাশিয়া আর প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। এটা যদি হতো তাহলে সবচেয়ে ভালো একটা কাজ হতো। এবিষয়ে আমাদের সামনে অনেক বড় বড় সুযোগ রয়েছে কিন্তু কে জানে। হতেও তো পারে।

কোনো প্রেসিডেন্টই আমার মতো রাশিয়ার উপর এতো কঠোর হতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

আবারো নিজ দেশের সংবাদ মাধ্যমকে এক হাত নিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য বালটিক কোনো দেশের সাংবাদিককে বেছে নিতে লাতভিয় প্রেসিডেন্ট রেয়মন্ডস ভেজনিসকে আহবান জানান তিনি।

ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, সবচেয়ে ভালো হয় একজন বাল্টিক রিপোর্টার খুঁজুন। “মি: প্রেসিডেন্ট বালটিক থেকে একজন রিপোর্টার খুঁজুন।” আর ট্রাম্পের এমন আহবানে কিছুটা যেন থতমত অবস্থায় পড়ে গেলেন রেইমন্ডস। কিছুটা হেসে একটু দম নিলেন তিনি, তারপরও বুঝে উঠতে পারছিলেননা কাকে ডাকবেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যিকারের সংবাদ চাই, কোনো ফেইক কিছু না।’ এসময় যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন ভিজনিস, এস্তোনিয় প্রেসিডেন্ট কেস্তি কালজুলেড এবং লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রাইবস্কাইতে। সাংবাদিকদের মধ্যে পড়ে হাসির রোল।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/১৩২০ঘ)