ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : চলতি বছরটা দুর্দান্তই কেটেছে রশিদ খানের। তার প্রমাণ আইসিসির র্যাঙ্কিং লিস্ট। টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলার আর ওয়ানডেতে সেরা অলরাউন্ডার। তবে বছরের শেষভাগে বড় একটা দুঃসংবাদ দিয়েই শেষ হলো এই আফগান লেগ স্পিনারের। ৩০ ডিসেম্বর, রবিবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন রশিদ খানের বাবা।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেই পিতৃবিয়োগের কথা নিশ্চিত করেছেন রশিদ খান।
ওই পোস্টে রশিদ খান লিখেছেন, ‘আজ আমি জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি চিরপ্রজ্জ্বলিত প্রদীপ বাবাকে হারালাম। এতদিনে আমি বুঝলাম কেন আপনি আমাকে সবসময় দৃঢ় হতে বলতেন। কারণ আপনি জানতেন একদিন আপনাকে হারানোর কষ্ট সহ্য করার মতো শক্তি দরকার আমার। চিরকাল আমার প্রার্থনায় বেঁচে থাকবেন আপনি। আপনার অভাব বোধ করছি।’
রশিদ খান যখন বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন তখন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগ খেলতে ব্যস্ত ছিলেন। বাবার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই দেশে ফিরছেন ২০ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার। রশিদের বাবার মৃত্যুতে আফগানিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গনেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কর্তা-ব্যক্তি থেকে শুরু করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, বিভিন্ন লিগ-টুর্নামেন্টের দল ও সতীর্থরা শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার কাউন্টি দল সাসেক্স ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদও কঠিন সময়ে রশিদকে সমবেদনা জানিয়েছে।
রশিদের বাবার মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়া মাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহল সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে রশিদকে। আফগান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবী টুইট করে শোক জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া রশিদ ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন কেভিন পিটারেসন, জেসন গিলেসপি, ডিন জোনস, ইউসুফ পাঠানের মতো আন্তর্জাতিক তারকারাও।
(জাস্ট নিউজ/এমজে/৯২০ঘ.)