সিলেটকে হারিয়ে বড় জয় ঢাকার

সিলেটকে হারিয়ে বড় জয় ঢাকার

ধ্বংসস্তূপ থেকে সিলেট সিক্সার্সকে টেনে তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঝড়ো ফিফটি করে দলকে এনে দিয়েছিলেন ফাইটিং স্কোর। তবে সাকিব আল হাসান ও আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ইনিংসে ম্লান হয়ে গেল সিলেট অধিনায়কের ইনিংস। হার না মানা সাকিব ৬১ ও রাসেল ৪০ রান করে ৬ উইকেটে ঢাকা ডায়নামাইটসকে জেতালেন। দুর্দান্ত এ জয়ে জয়ের ধারায় ফিরলেন ডায়নামাইটসরা।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা শুভ হয়নি ঢাকার। সূচনালগ্নেই মোহাম্মদ ইরফানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন মিজানুর রহমান। প্রাথমিক ঝটকা কাটিয়ে ওঠার আগেই তাসকিন আহমেদের শিকার সুনিল নারাইন। ১০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে থামেন তিনি। পরক্ষণেই রনি তালুকদারকে সন্দীপ লামিচানে ফিরিয়ে দিলে চাপে পড়ে ঢাকা।

৩৭ রানে টপঅর্ডারের ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়েছিল ঢাকা। পরে দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন দুজনে। ক্রিজে সেট হয়ে ছোটাতে থাকেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তাতে জয়ের পথে এগিয়ে যান ডায়নামাইটসরা। ইতিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সাকিব।

তবে অধিনায়কের সঙ্গে বন্ধনটা অটুট রাখতে পারেননি রাসুলি। ইরফানের বলে সাব্বিরের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত ১৯ রানে এ আফগান তুর্কি ফিরলে ভাঙে ৭৫ রানের জুটি।

ঢাকার জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত –বল ও -উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজধানীর দলটি।

একদিন বিরতির পর ফের মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়ছে ঢাকা ডায়নামাইটস ও সিলেট সিক্সার্স। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন ওয়ার্নার। শুরুটাও হয় আশা জাগানিয়া। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান তোলেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। দলীয় এ রানেই সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন লিটন। ফেরার আগে ১৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ঝড়োগতিতে করেন ২৭ রান। এ ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফেরত আসেন সাব্বির।

পরে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও ওয়ার্নার। প্রথমে ধীর-লয়ে চললেও ক্রিজে সেট হওয়ার পর হাত খোলেন তারা। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকে সিলেট। দুজনের মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে উঠেছিল। হঠাৎই সেই বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। দলীয় ৭৮ রানে অ্যান্ড্রিউ বির্চের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন আফিফ।

সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অলোক কাপালি। আর সুনিল নারাইনের বলে সোজা বোল্ড হয়ে ইনফর্ম নিকোলাস পুরান ফিরলে হঠাৎই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সিলেট। ২ উইকেটে ৭৭ থেকে খানিকের মধ্যে স্কোর দাঁড়ায় ৮৬/৫।

এরপর জাকির আলিকে নিয়ে খেলা ধরেন ওয়ার্নার। একপর্যায়ে জমাট বেঁধে ওঠে তাদের জুটি। তাতে ছোটেন স্বাগতিকরা। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন ওয়ার্নার। তিনি ফেরেন ৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে জেতেন সাকিব। সিলেট অধিনায়ককে নাঈম শেখের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি।

কিছুক্ষণ পর থামেন বিপর্যয়ে ওয়ার্নারকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেয়া জাকির আলি। তার মূল্যবান উইটটি নেন বির্চ। পরের বলেই তাসকিন আহমেদকে ক্লিন বোল্ড করে ফেরান তিনি। ফলে হ্যাটট্রিকের চান্স থাকল তার। পরের ম্যাচে নিজের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেলে কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক পাবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে সিলেট। ঢাকার হয়ে বির্চ নেন ৩ উইকেট। সাকিবের শিকার ২টি।

এমআই