ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ: তবুও বহাল তবিয়তে প্রকৌশলী আশরাফুল

ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ: তবুও বহাল তবিয়তে প্রকৌশলী আশরাফুল

টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতিবাজরা যে দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এদের মাঝে অন্যতম ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরই ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোতে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, গণপূর্ত বিভাগে কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা থাকতে পারবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে।

এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রংপুর) আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলোর মাঝে অন্যতম হলো- ঢাকায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত থাকার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুনীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি কুমিল্লা-৩ আসনের সাবেক এক এমপি, যিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তার কোম্পানি শাহ কনস্ট্রকশনের সাথে আঁতাত করে আশরাফুল আলম কাজ করেছেন চক্ষু হাসপাতালে। ওই কাজের দরপত্রও নিয়ম বহির্ভূতভাবে শাহ কনস্ট্রাকশনকে দেয়া হয়েছে।

আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে আরো ঘোরতর অভিযোগ, ৩০০ জন ভাউচারভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দেন তিনি।

এছাড়া জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাস্ট্রপতি আশরাফুল আলমের দুর্নীতির বিষয়ে জানার পর ১ঘণ্টার নোটিশে জাতীয় সংসদের নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেন।

নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বহু অর্থ সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে মামলাও করা হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রংপুর) আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনে তিনি বলেন, আপনি আমার অফিসে আসেন, বসে কথা বলবো। টেলিফোনে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলবো না। এরপরই তিনি ফোন কেটে দেন। সুত্র: বিডি-জার্নাল।

এমআই