খুলনাকে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জ সিলেটের

খুলনাকে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জ সিলেটের

শুরুতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। মাঝপথে তাতে জ্বালানি জোগাতে পারেননি জেসন রয় ও নিকোলাস পুরান। তবে শেষদিকে জ্বলে উঠলেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। অন্তিমলগ্নে মাঝের গ্যাপ পূরণ করে দিলেন তারা। খুলনা টাইটানস বোলারদের ওপর চালালেন স্টিম রোলার। দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিলেন এ জুটি। প্রতিপক্ষকে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সিক্সার্সরা।

বাকি সব ম্যাচ জিতে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করতে মরিয়া সিলেট সিক্সার্স। সেই লক্ষ্যে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন দলটির অধিনায়ক অলক কাপালি। ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে (৬ ওভার) প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর রীতিমতো তোপ দাগান তারা। দলীয় ৭১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রান করেন সিলেট উইকেটরক্ষক-ব্যাটসমস্যান।

লিটন ফিরলে হঠাৎ পথ হারায় সিলেট। তাইজুলের শিকার হয়ে ফেরেন জেসন রয়। সেই রেশ না কাটতেই তার স্পিন জালে ধরা পড়েন দুর্দান্ত খেলতে থাকা আফিফ। মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এ প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার। এ জের কাটিয়ে ওঠার আগেই জুনায়েদ খানের অফস্ট্যাম্পেরই অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে গিয়ে ব্র্যান্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ইনফর্ম নিকোলাস পুরান।

শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। মাঝপথে কক্ষচ্যুত। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। একপর্যায়ে জমাট বেঁধে ওঠে তাদের জুটি। প্রথমে ধীর-লয়ে হাঁটলেও ক্রিজে সেট হওয়া মাত্রই ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। শেষ পর্যন্ত সেই ঝড় চলেছে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান করে সিলেট।

সাব্বির কোপ দাগিয়ে খেলেন ২৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানের হারা না মানা টর্নেডো ইনিংস। আর ছড়ি ঘুরিয়ে মাত্র ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নওয়াজ। খুলনার হয়ে ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

এ লড়াইয়ে দুই দলেরই একাদশ অপরিবর্তিত আছে। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় কোয়ালিফায়ারের আশা শেষ হয়ে গেছে খুলনার। তবে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন আছে সিলেটের। এজন্য এটিসহ আসছে সব ম্যাচেই জিততে হবে তাদের।

এমআই