লুইসের সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার সংগ্রহ ২৩৭

লুইসের সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার সংগ্রহ ২৩৭

একে ফিরে গেছেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। তবে থেকে গিয়েছিলেন এভিন লুইস। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছোটালেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। রীতিমতো কামান দাগালেন তিনি। তার তাণ্ডবে ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা হলো মাহমুদউল্লাহদের। তাদের নাকের পানি, চোখের জল এক করে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ক্যারিবীয় হিটার। তাতে ২৩৭ রানের পাহাড় গড়ল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

বিপিএল ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। কয়েকদিন আগে অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশোর সেঞ্চুরিতে রংপুর রাইডার্সের করা ২৩৯ রান সর্বোচ্চ। সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল কুমিল্লার। তবে শেষ ৪ বলে কোনো বাউন্ডারি না আসায় তা হয়নি।

২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৩৮ রান করেছে কুমিল্লা। লুইস ১০৯ রান করছেন। এইমাত্র সাজঘরে ফিরলেন তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিতে থাকা ইমরুল কায়েস। ফিফটির দোরগোড়ায় ছিলেন তিনি। অধিনায়কও ছোটাচ্ছিলেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। শরিফুল ইসলামের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরার আগে ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ইমরুল।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৩৩তম ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং নেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুরুটা হয় আশাব্যঞ্জক।

৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে কুমিল্লা। টেবিলে ওপরে উঠতে ভিক্টোরিয়ানসদের কাছে ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আর খুলনার জন্য ম্যাচটি কেবল নিয়মরক্ষার। ইতিমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে দলটি। ১০ ম্যাচ খেলে ২ জয় ও ৮ পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে টাইটানসরা।

এমজে/