রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

পয়েন্ট তালিকার সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকায় দুটি সুযোগ পাবে। তবে অপেক্ষা করতে চাইল না রাউন্ড রবিন লিগ শেষে তালিকার দুই নাম্বারে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বরং এক নাম্বারে থাকা রংপুর রাইডার্সকে হেসেখেলে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে চলে গেল ইমরুল কায়েসের দল। মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুরকে ৮ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছে তারা।

এই ম্যাচ হারলেও অবশ্য আরেকটি সুযোগ পাবে রংপুর রাইডার্স। এলিমিনেটর জেতা ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে নামবে ৬ ফেব্রুয়ারি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬৫ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লক্ষ্যটাকে একেবারে ছোট বলা যাবে না। কিন্তু কুমিল্লা খেলল একেবারে দেখেশুনে, মাথা গরম না করে। আলাদা করে বলতে হয় এভিন লুইসের কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ওপেনার এদিন দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন।

ধরে ধরে খেলে শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন লুইস, যে ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার। কুমিল্লার এই সহজ জয়ে অবশ্য অবদান ছিল এনামুল হক বিজয় আর শেষদিকে নামা শামসুর রহমান শুভরও। বিজয় ৩২ বলে করেন ৩৯ আর শুভ মাত্র ১৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩৪।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় রংপুর রাইডার্স। একটা সময় বিপদেই পড়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই গড়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

শুরুতে ক্রিস গেইল, পরের দিকে রাইলি রুশো আর বেনি হাওয়েল। তিন বিদেশি ব্যাটসম্যানের কাঁধে চড়ে বিপদ কাটিয়েছে রংপুর। অথচ একটা সময় ৭৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট।

গেইল রান পাচ্ছেন না। তার বিধ্বংসী চেহারা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ফাইনালে উঠার ম্যাচে সেজন্যই বোধ হয় নিজেকে আরও একটু খোলসে ঢুকিয়ে ফেললেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। শুরু করলেন দেখে শুনে।

মারবেনই বা কি করে? অপরপ্রান্তে যে ব্যাটসম্যানরা সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। ওপেনিংয়ে নেমে মেহেদী মারুফ ১ রান করেই সাজঘরে। মোহাম্মদ মিঠুন রানআউট ৩ রানে।

দলের বিপদে গেইল হয়ে গেলেন হাল ধরার মানুষ। সেই ভয়ানক ব্যাটিং নয়। একটু একটু করে এগোচ্ছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার। যখন হাত খুলে খেলতে যাবেন, ঠিক তখনই আউট হয়ে গেলেন।

মেহেদী হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক কাছে থিসারা পেরেরার ক্যাচ হয়ে ফেরেন গেইল। ৪৬ রানের ইনিংসটায় বল খেলেছেন ৪৪টি, গেইলের মানের সঙ্গে হয়তো যায় না। তবে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় গড়া ওই ইনিংসটিই বিপিএলে চলতি আসরে তার সর্বোচ্চ।

গেইল ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন টুর্নামেন্টজুড়েই দারুণ ধারাবাহিক রাইলি রুশো। পঞ্চম উইকেটে বেনি হাওয়েলকে নিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি, যে জুটিতেই আসলে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর।

শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৪ রান করে মোহাম্মদ সাউফউদ্দিনের শিকার হন রুশো, ইনিংসের তখন মাত্র ৭ বল বাকি। তবে বেনি হাওয়েল তুলে নেন বিধ্বংসী এক হাফসেঞ্চুরি। ২৮ বলে ৩ চার আর ৫ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।

এমআই