‘বিতর্কিত’ শেষ বলে ম্যাচ জিতলো মুম্বাই

‘বিতর্কিত’ শেষ বলে ম্যাচ জিতলো মুম্বাই

১৮৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ব্যাঙ্গালুরের দরকার ছিল ১৭ রান। শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় কোহলিদের প্রয়োজন ৭ রান। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ বলে কোনো রান খরচ না করে মুম্বাইকে ম্যাচ জেতালেন লাসিথ মালিঙ্গা। এই লঙ্কান পেসার শেষ ওভারে খরচ করলেন মাত্র ১০ রান। ৬ রানে ম্যাচ জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

এদিন মুম্বাইয়ের হয়ে সেরা বোলিং বুমরাহ’র। চার ওভারে ২০ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। বুমরাহের শিকারের তালিকায় রয়েছেন বিরাট কোহলি, হেটমায়ার, গ্র্যান্ডহোম। আরসিবি’র ব্যাটিং ইনিংসের ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে এক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন বুমরাহ।

ডেথ ওভারে তিনি যে কতটা ভয়ঙ্কর, আইপিএলের এই ম্যাচে ফের একবার প্রমাণ দিলেন বুমরাহ। বুমরাহের পাশাপাশি ব্যাটে মুম্বাইয়ের হয়ে এদিন ম্যাচ ঘোরান হার্দিক পান্ডিয়া। ১৪ বলে ৩২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে মুম্বাইকে ১৮৭ রানে পৌঁছে দেন তিনি।

অন্যদিকে, ৪১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেও এবি ডি’ভিলিয়ার্সের লড়াকু ইনিংস কাজে এল না। মুম্বইয়ের বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে একসময় ব্যাঙ্গালুরুকে প্রায় জয়ের কাছে পৌঁছে দেন এবিডি। ৪টি চার ও ৬টি ছয় হাঁকিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেও দলকে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের গন্ডি পার করাতে পারলেন না ক্রিকেটের মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি।

আরসিবি’র হয়ে এবিডি ছাড়া কোহলি ৪৬ ও পার্থিব ৩১ রানের দামি ইনিংস খেলেন। ৫ রানে আউট হয়ে ফের একবার হতাশ করলেন দলের ক্যারিবিয়ান তরুণ সিমরন হেটমায়ার। এই নিয়ে এবারের আইপিএলে টানা দুই ম্যাচ হারল বিরাটের ব্যাঙ্গোলুর। জয়ের কাছে এসেও ট্র্যাজিক অধিনায়ক হয়েই থেকে যেতে হল কোহলিকে।

ম্যাচ শেষে অবশ্য বিতর্কিত মুহূর্ত মুম্বাইয়ের জয়ের সেলিব্রেশনকে একটু হলেও মলিনকরে দেয়। ম্যাচ শেষে দেখা যায়, মালিঙ্গা শেষ ওভারের শেষ বলটি নো করেছিলেন। বল করার মুহূর্তে মালিঙ্গার পা পপিং ক্রিজ থেকে অনেকটাই এগিয়েছিল। পুরো ঘটনাই আম্পায়ারের নজর এড়িয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার নো ডাকেননি। পেনাল্টি স্বরূপ ফ্রি-হিটের চাপও নিতে হয়নি মুম্বাইকে। ‘বিতর্কিত’ শেষ বলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে রোহিতের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

এমআই