বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ?

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ?

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। একেবারে দোরগোড়ায় চলে এসেছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই গত কয়েক মাসে ইনজুরির ছোবলে জর্জরিত বাংলাদেশ দল। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদরা একেবারেই জাতীয় দলের বাইরে, চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। ইনজুরি সমস্যা রয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবালেরও। এরই মধ্যে বাংলাদেশ শিবিরের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর গুরুতর ইনজুরির সংবাদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার তার ইনজুরির খবরটি নিশ্চিত করেছে।  

বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, সোমবার মাহমুদউল্লাহর একটি এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তারা। নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে কাঁধে চোট পান রিয়াদ। সেখানেই তার এমআরআই সম্পন্ন করা হয়। গতকাল সেই রিপোর্টটি বিসিবির হাতে এসেছে। রিপোর্টে মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা ‘গ্রেড-থ্রি টিয়ারে’র বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, তার ইনজুরি খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।   

এমন ইনজুরির সংবাদ পাওয়ার পরপরই মাহমুদউল্লাহকে ১৫ দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বিশ্রামের পর তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে না উঠলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে। এতে করে মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। তবে আপাতত এই ইনজুরি সংক্রান্ত ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিসিবির চিকিৎসক।

বাংলাদেশ দলের বর্তমান স্কোয়াডে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডবের একজন বলা হয় মাহমুদউল্লাহকে। দলের অন্যতম সিনিয়র এই সদস্য সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতে টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘ব্যাটিং হিরো’ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ছয় ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফিসেঞ্চুরিসহ করেছিলেন ৩৮০ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও করেছিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। গত বিশ্বকাপ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নয় নম্বরে ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আপাতত মাহমুদউল্লাহর ইনজুরি নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে। এর আগে ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান প্রায় একই ধরনের চোটে পড়েছিলেন। পরে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাকে। সেই ইনজুরির কারণে প্রায় ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন বাঁহাতি পেসার। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা তাই বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজই ফেলেছে।

এমজে/