বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পতাকার কথা চিন্তা করার সুযোগই নেই। যেখানে বাংলাদেশ লেখা সেখানে পাকিস্তান মনে হবে কেন? বাঘ আছে, বিসিবির লোগো আছে। এরপরও এ জার্সিকে বাংলাদেশ মনে না করে কেউ যদি পাকিস্তান মনে করে তার পাকিস্তানেই থাকা উচিত।’
অপরদিকে, লেখক, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এ জার্সিকে পাকিস্তানী-ই মনে করেননি, সঙ্গে সঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকেও কি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিবেন?
মাশরাফিদের বিশ্বকাপের জার্সি সম্পর্কে এক মন্তব্য প্রতিবেদনে জাফর ইকবাল যা লিখেছেন, তা নিচে দেওয়া হলো-
‘দেশের সবাই কী জানে আমাদের দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাকিস্তানি ভূতেরা বসবাস করে? আমি তার অকাট্য প্রমাণ একবার পেয়েছিলাম ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ যখন গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ আয়োজন করা হয়েছিল।’
‘আমি তাদের ছবি দেখে আতংকে চমকে উঠেছিলাম, সবার মাথায় সবুজ বেসবল ক্যাম্প পাকিস্তানি সাদা চাঁদ তারা। খুব কাছ থেকে দেখে আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে নিচের লেখাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন একটু দূর থেকেই সেটাকে পাকিস্তানি চাঁদ তারা মনে হয়!’
জাফর ইকবাল আরো লেখেন, ‘এই দেশের একটি শিশু পর্যন্ত কিছু একটা আঁকতে হলে সেখানে সবার আগে লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করে। আমাদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জার্সিতে লাল রংটুকু কোথায়?’
‘আমাদের বিশ্বকাপ দলের এই পাকিস্তানি জার্সিটির আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি। সারা পৃথিবীর মাত্র দশটি দেশের একটি বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপ খেলবে। খেলার মাঠে আমরা তাদের লাল সবুজ রঙের জার্সিতে দেখতে চাই, পাকিস্তানি জার্সিতে নয়।’
সবশেষে জাফর ইকবাল লখেন, ‘তার সাথে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে থাকা এই সব পাকিস্তানি ভূতদের পরিচয় জানতে চাই। তারা কারা?’
এমআই
