এক ম্যাচেই সাকিবের এত রেকর্ড!

এক ম্যাচেই সাকিবের এত রেকর্ড!

সাকিবের ম্যাচজয়ী ইনিংসের পর অভিনন্দন জানাচ্ছেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো। ছবি : গেটি ইমেজেস
ক্যারিবীয়ানরা যেন সাকিবের জন্য রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন! তা না হলে এত রেকর্ড কীভাবে হয়? টনটনে বিশ্বকাপে টাইগারদের পঞ্চম ম্যাচ যেন সাকিবের রেকর্ড গড়া ম্যাচ। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ক্যারিবীয়দের দেওয়া ৩২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ জেতে সাত উইকেটে, ৫১ বল হাতে রেখে। সাকিবের ১২৪ ও লিটন দাসের ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণে ইতিহাস সৃষ্টি করে টাইগাররা।

এই বিশ্বকাপে এটি সাকিবের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি (১২৪*)। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২১ রানের ইনিংস। যদিও বাংলাদেশকে স্বাগতিকদের বিপক্ষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিবের যত রেকর্ড

সবার শীর্ষে সাকিব

এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে ৩৮৪ রান করে সবার শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান। সর্বোচ্চ ১২৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে। এ ছাড়া ৩৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে অ্যারন ফিঞ্চ, ৩১৯ রান নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রোহিত শর্মা এবং ২৮১ রান নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে চার ইনিংসে সাকিবের রান যথাক্রমে ৭৫, ৬৪, ১২১ ও ১২৪*।

সাকিবের ছয় হাজার রান

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমেই রেকর্ড গড়েন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ওয়ানডে ক্রিকেটে ছয় হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন সাকিব। এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে সাকিবের রান ছিল পাঁচ হাজার ৯৭৭ রান। আজ সাকিব ১২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব এই রেকর্ড গড়েন। এর আগে তামিম ইকবাল ছয় হাজার রান স্পর্শ করেন। সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন মুশফিক।

ছয় হাজার রান করতে সাকিবের লেগেছে ২০২ ম্যাচের ১৯০ ইনিংস। আটটি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফসেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে সাকিবের গড় ৩৬ দশমিক ৮১।

চলতি বিশ্বকাপেও ভীষণ ধারাবাহিক সাকিব। চার ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে দুটি হাফসেঞ্চুরি ও দুটি সেঞ্চুরি করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

৬ হাজার রান ও ২০০ উইকেট

৬ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট শিকারিদের মধ্যে সাকিবই সবচেয়ে দ্রুততম। যেখানে শহীদ আফ্রিদীর লেগেছিল ২৯৪ ম্যাচ সেখানে সাকিব খেলেন ২০২ ম্যাচ। শহীদ আফ্রিদী থেকে ৯২ ম্যাচ কম খেলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। সাকিব ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ডে নাম লেখান। সাকিবের আগে শহীদ আফ্রিদি, জ্যাক ক্যালিস ও সনাত জয়সুরিয়া এই অর্জনের মালিক হয়েছিলেন।

টেন্ডুলকারের পাশে সাকিব

বিশ্বকাপে টানা চার ইনিংসে ৫০ রানের বেশি করে টেন্ডুলকার ও গ্রায়েম স্মিথদের সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই অর্জন করেন তিনি।

বিশ্বকাপে এর আগে টানা চার ইনিংসে ৫০ রানের বেশি করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, গ্রায়েম স্মিথ ও নভোজ্যোত সিং সিধু।

এমজে/