আফগান ঘূর্ণিতে নাকানিচুবানি খেলো ভারত

আফগান ঘূর্ণিতে নাকানিচুবানি খেলো ভারত

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি ভারত। অন্যদিকে আফগানিস্তান একটি ম্যাচেও জয়ের মুখ দেখেনি। কিন্তু সাউদাম্পটনে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেই কোহলিদের নাকানিচুবানি খাইয়েছেন আফগান বোলাররা। নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৪ রান তুলে ভারত।

২০১০ সাল থেকে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত আগে ব্যাটিং করে ভারত কখনো এত কম রান করেনি। ২২৪ রানই সর্বনিম্ন রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতের জন্য দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই রান অবশ্যই লজ্জার।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমেই শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। মুজিবুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরেন রোহিত শর্মা। প্রথম উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রাহুল-কোহলি। কিন্তু এবার দুর্গে হানা দেন মোহাম্মদ নবী। রাহুলকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরিয়ে ভেঙে দেন ৫৭ রানের জুটি।

রাহুল ফিরে গেলে বিজয় শংকরকে নিয়ে হাল ধরেন কোহলি। কিন্তু এই বিজয় শংকর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই তাকে ফিরিয়ে মুজিবুর রহমান ভেঙে দেন ৫৮ রানের জুটি।

এ ছাড়া ধোনি-কেদার যাদব ৫৭ রানের জুটি গড়ে রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তারাও সফল হননি। এই তিনটি জুটি ছাড়া ভারত বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি।

সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন বিরাট কোহলি। ৫২ রান করে দলকে বাঁচান কেদার যাদব। ধোনি ২৮, বিজয় ২৯ ও রাহুল ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মাত্র সাত রান করেন পান্ডিয়া।

আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাঈব ও মোহাম্মদ নবী। একটি করে উইকেট নেন মুজিবুর রহমান, আফতাব আলম, রশীদ খান ও রহমত শাহ।

আগফানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে ভারত নেমেছে একটি পরিবর্তন নিয়ে। পেসার ভুবেনশ্বর কুমারের জায়গায় দলে এসেছেন মোহাম্মদ শামি। ধাওয়ানের পরিবর্তে ঋষভ পান্থকে উড়িয়ে নিয়ে আসলেও তিনি এখনো সুযোগ পাননি। গত ম্যাচের মতো বিজয় শংকরকে নিয়েই গড়া হয়েছে ভারতের একাদশ।

আফগানিস্তানের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন দাওলাত জাদরান ও নুর আলী জাদরান। এই দুইজনের পরিবর্তে এসেছেন হজরতুল্লাহ জাজাই ও আফতাব আলম।

এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে খেলে ভারতের পয়েন্ট সাত। পয়েন্ট টেবিলে কোহলিদের অবস্থান চারে। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কোনো ম্যাচ না জিতে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান একেবারে তলানীতে আফগানিস্তান।