বাংলাদেশের ইনিংস ও ১৩০ রানে হার

বাংলাদেশের ইনিংস ও ১৩০ রানে হার

ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির পর ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এরফলে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৩০ রানে পরাজিত হয় সফরকারিরা। সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশ প্রথম দিনে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে পওথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল আউট হয়। ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে একমাত্র ফিফটি করা মুশফিকুর রহীম দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বেোচ্চ ৬৪ রান করেন। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৩১ রানে নেন ৪ উইকেট।

তৃতীয় দিন সকালে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। ৩৪৩ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে টাইগাররা।

১৫ ওভারের মাঝে বাংলাদেশের ৪ ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে। ইনিংসের প্রথম ৭ ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দুই অঙ্কে যেতে পারলেন না কোনো ওপেনার। প্রথম ইনিংসের মতো ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল-সাদমান। উমেশ যাদবের বলে ইমরুল যখন ফেরেন টাইগারদের রান তখন ১০। এরপর দলীয় ১৬ রানে ইশান্ত শর্মার শিকার হন আরেক ওপেনার সাদমান।

প্রথম সেশনে বাকি দুই উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। বাংলাদেশের অভিষিক্ত অধিনায়ক মুমিনুল হক দলীয় ৩৭ রানে আউট হয়ে ফিরে যান। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করা মুমিনুল ৭ রান করে আউট হন। শামি তার দ্বিতীয় ওভারে এসে দলীয় ৪৪ রানে মিঠুনকে (১৮) সাজঘরে ফেরান।

বাংলাদেশ লাঞ্চে যায় ২২ ওভারে ৬০/৪ নিয়ে। আর লাঞ্চ থেকে ফিরে পাঁচ ওভারের মধ্যে হারায় মাহমুদউল্লাহকে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৫ রান করে শামির বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। মুশফিক-লিটনের দৃঢ়তায় ১৩৩/৫ নিয়ে ড্রিংকসে যায় বাংলাদেশ। পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন তারা। তবে ড্রিংকসের পরপরই লিটনের বিদায়ে ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। অশ্বিনের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করা লিটন। ষষ্ঠ উইকেটে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ‍জুটি উপহার দেন মুশফিক-মিরাজ। তাদের কল্যাণে ১৯১/৬ নিয়ে টি-ব্রেকে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফিরে আর ২২ রান যোগ করতেই বাকি ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।