নাটকীয় জয়ে বিশ্বকাপ জিতল ব্রাজিলের কিশোররা

নাটকীয় জয়ে বিশ্বকাপ জিতল ব্রাজিলের কিশোররা

বড়দের বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমাররা। তবে ছোটদের বিশ্বমঞ্চে সফল লাজারোরা। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল তারা। ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও মেক্সিকো অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের কিশোররা।

রবিবার ঘরের মাঠ ব্রাসিলিয়ায় ফাইনালি লড়াইয়ে মেক্সিকোর কিশোরদের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দল। শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে ওঠে দুদলের খেলা। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। তবে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ হলেও প্রথমার্ধে গোলমুখও খুলতে পারেনি কোনো দল।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। এ অর্ধের শুরুতে দারুণ ছন্দময় ফুটবল উপহার দেয় মেক্সিকোর কিশোররা। ফলে সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ৬৬ মিনিটে দারুণ গোলে দলকে লিড এনে দেয় ব্রায়ান গনঞ্জালেস।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় ব্রাজিলের কিশোররা। তবে সহসা গোল আসছিল না। কিন্তু একপর্যায়ে সেই তোড় সামলাতে পারেনি মেক্সিকোর টিনএজাররা। ৮৪ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান এক ফরোয়ার্ডকে ফাউল করে তারা। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

সফল স্পট কিক থেকে নিশানাভেদ করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরায় কায়ো। এতে ম্যাচে ফেরার রসদ পেয়ে যায় সেলেকাওদের ছোটরা। নাটকীয়ভাবে ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল করে দেশকে শিরোপা এনে দিতে ভূমিকা রাখে লাজারো।

অবশ্য ব্রাজিলকে ম্যাচে ফেরানো পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। শুরুতে জেসুস গোমেসের কড়া ট্যাকলের মুহূর্ত দেখতে পারেননি রেফারি। পরে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির সহায়তা নেন তিনি।এরপর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।

ম্যাচের পর মেক্সিকো কোচ হোসে মারিয়া এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এ রিভিউ নেয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন রেফারিরা।

বয়সভিত্তিক এ ফুটবল টুর্নামেন্টে এটি ব্রাজিলের চতুর্থ শিরোপা। আর আট বছরে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেও রিক্তহস্তে ফিরতে হলো মেক্সিকোকে। এর আগে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ফ্রান্স।

এমজে/