প্লে-অফে ঢাকা প্লাটুন

প্লে-অফে ঢাকা প্লাটুন

শুরুতে রংপুর রেঞ্জার্সের বোলাররা কাঁপিয়ে দিলেন ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটসম্যানদের। পরে বোলিংয়ে তাদেরও ছাপিয়ে গেল ঢাকা। বোলারদের আধিপত্যের ম্যাচটি ৬১ রানে জিতে প্লে-অফের টিকিট পেয়ে গেছে মাশরাফির ঢাকা।

আজ (বুধবার) বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ১৪৫ রান করে তারা। এই লক্ষ্যে ১৫.৩ ওভারে রংপুর গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৪ রানে। দুর্দান্ত জয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে গেল ঢাকা। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। মাশরাফিদের আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স (১৬) ও তৃতীয় স্থানে থাকা রাজশাহী রয়্যালস (১৪)।

বিপিএলের শুরুতেও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার তো হতাশাই প্রকাশ করেছিলেন। সেই মোস্তাফিজই সময় গড়ানোর সঙ্গে ফিরতে শুরু করেছেন ছন্দে। ঢাকাকে অল্পতে আটকে রাখার পথে বাঁহাতি পেসার ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও ছিলেন দুর্দান্ত। ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জাতীয় দলের জায়গায় জোর দাবি জানিয়ে রাখলেন তিনি।

তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ নবীর (২/২১) ঘূর্ণিতে ১৪৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে ঢাকা। যেখানে ৩৮ বলে তামিম ইকবালের ৪০ রান ছিল সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে শাদাব খানের ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটির কারণেই মূলত ঢাকা পায় লড়াই করার মতো পুঁজি।

১৪৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই এলোমেলো রংপুর। মেহেদী হাসানের অফস্পিনে মাত্র ৪ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৪) ও শেন ওয়াটসন (০)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজকে (০) ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করা নাঈম ৩.৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক মাশরাফি (২/১৮), ফাহিম আশরাফ (২/২৬) ও শাদাব (২/১৪)।

ঢাকার বোলারদের দাপটের সামনে রংপুরের সর্বোচ্চ রান আসে আল-আমিনের (২৩) ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ নবীই (১২) শুধু যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে।

ঢাকার বিপক্ষে জিততে পারলে প্লে-অফের আশা বেঁচে থাকতো রংপুরের। কিন্তু হেরে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন শেষ। তবে তাদের হারিয়ে ঢাকা পেয়ে গেছে প্লে-অফের টিকিট।