সরকারি অনুমতি মেলেনি, পাকিস্তানে টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ

সরকারি অনুমতি মেলেনি, পাকিস্তানে টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ

ক্রিকেটার থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্টের কেউই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ছাড়া পাকিস্তানে যেতে চায় না। এ কারণে পাকিস্তানে প্রথমে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলে এসে পরে কোনও এক সময় টেস্ট খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলো বিসিবি পিসিবিকে। সেই প্রস্তাব পেয়ে পিসিবি বিসিবিকে দেয় পাল্টা প্রস্তাব। তাতে টি-টোয়েন্টি বাদ দিয়ে আহ্বান জানানো হয় আগে টেস্ট সিরিজ খেলে আসার। দুই বোর্ডের আলোচনায় শুধু টেস্ট সিরিজ খেলার ব্যাপারে একটু ইতিবাচক অগ্রগতি থাকলে জিও সরকারি অনুমতি না পাওয়ায় পাকিস্তানে দীর্ঘ সফর করার কোনও সুযোগ থাকছে না! অর্থাৎ পাকিস্তান যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজের ব্যাপারে রাজি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর আপাতত বাতিল বলেই ধরে নেওয়া যায়।

মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতা বিসিবিকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে লম্বা সময়ের জন্য পাকিস্তান সফরে যেতে সরকার আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না। লম্বা সময়ের জন্য আমরা তাই পাকিস্তান যেতে পারছি না। আমরা এখন টি-টোয়েন্টি খেলে আসতে চাই। আমরা সরকারের কাছ থেকে জেনেছি। তবে চিঠি পাওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আবার প্রস্তাব দেবো। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আপাতত তাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছি।’

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ঘটনার প্রভাব পাকিস্তানেও পড়তে পারে। দুর্ঘটনা ঘটতে একটি দিনই যথেষ্ট। তবে পাকিস্তানে সংক্ষিপ্ত সফরই বা কেন? বিসিবিও চায় পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরুক। কিন্তু বর্তমান সময়কে সেখানে গিয়ে টেস্ট খেলার জন্য আদর্শ মনে করছেন না নাজমুল হাসান, ‘ওয়াকওভার দিতে চাই না। অন্যরা খেলে আসার পর না করাও কঠিন। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরুক সেটা আমরাও চাই। কিন্তু টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি এক না। তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে সময় লাগবে মাত্র ১২০ ওভার। অন্যদিকে একটি টেস্ট খেলতেই কিন্তু সময় লাগবে ৪৫০ ওভার। টি-টোয়েন্টি খেলে আমরা দেখে আসতে চাই সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন। খেলোয়াড়দেরও একটু আত্মবিশ্বাস বাড়ুক। এরপর আমরা যেকোনও সময়ে গিয়ে টেস্ট খেলে আসলাম। দুই বছরের মধ্যে দুটি টেস্ট খেললেই হলো।’