ক্যারিয়ারের শুরুতে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের কাছে রীতিমত ‘দুর্বোধ্য’ ছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। অনেকেই তার মধ্যে দেখছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের ছায়া। সেই মোস্তাফিজ এখন অনেকটাই মলিন। বলে সেই ধার নেই। ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ইচ্ছা খেলতে পারছেন। দেদারসে রান হচ্ছে তার বলে। পাকিস্তান সফরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ক’দিন আগে শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সর্বাধিক ২০ উইকেট শিকার মোস্তাফিজের। কিন্তু পাকিস্তান সফরে শুরুর দুই টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজ পেয়েছেন মাত্রই এক উইকেট।
প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৪০ আর দ্বিতীয়টিতে তিন ওভারে দেন ২৯ রান। এক সময়ের ‘দুর্বোধ্য’ মোস্তাফিজ অনেকটাই ‘অনুমেয়’ হয়ে গেছেন, এমনটাই মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই পেসার অবশ্য হতাশ করছেন না কাটার মাস্টারকে। বরং চেষ্টা করলে কিভাবে ভালো বোলারে পরিণত হতে পারবেন, সেই উপায়ও বাতলে দিলেন পাকিস্তানি পেস কিংবদন্তি।
বিধ্বংসী বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘মোস্তাফিজের তার বল রিলিজ নিয়ে কাজ করা উচিত। তার কব্জি এমন পজিশনে থাকে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য যা বিপরীত দিকে যেতে পারতো। সে খুব প্রতিভাবান ক্রিকেটার, কিন্তু সে অনুমেয়ও। তার বল ডানহাতিদের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছে, বাঁহাতিদের ভেতরে আসছে।’ পাকিস্তানের সাবেক সফল অধিনায়ক বলেন, ‘সে এখনও বেশ তরুণ। তার শেখার সময় আছে। যদি সুইংয়ের শিল্পটা আয়ত্ত্ব করতে পারে, তবে তাকে খেলা খুব কঠিন হবে।’
সফরকারী বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্স দেখে হতাশ ওয়াসিম আকরাম। ‘সুলতান অব সুইং’খ্যাত সাবেক এই পেসার বলেন, ‘বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুবই নিম্নমানের ছিল। মাঠে তাদের দেখে একদম আশাহীন মনে হয়েছে। মাহমুদুল্লাহ একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, তার অবশ্যই চার নম্বরে ব্যাট করা উচিত। কিন্তু সে ব্যাট করছে ছয় নম্বরে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা একদমই সঠিক ছিল না।’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের শিকার ৩৯ ম্যাচে ৫৩ উইকেট। সোর বোলিং ফিগার ৫/২২।