প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরি

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তামিম ইকবাল। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ইস্ট জোনের এ ওপেনার ৪০৭ বলে পূর্ণ করেন তিনশ রান। ইনিংসে ছিল ৪০টি চারের মার।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) এটিই প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২০০৬-০৭ মৌসুমে দেশের হয়ে প্রথম ট্রিপল আনেন রকিবুল হাসান। ফতুল্লায় বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ৬০৯ বলে ৩১৩ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ৬৬০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩৩ চারে অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন রকিবুল।

একযুগ পেরিয়ে রকিবুলের পাশে নাম লেখালেন তামিম। ২২২ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শুরু করা এ ওপেনার ট্রিপল ছুঁয়েছেন লাঞ্চ বিরতির পর। বড় কীর্তি গড়ার পরও টাইগার ওপেনারের উদযাপন ছিল সাদামাটা। তামিম যখন ২৯৯ রানে অপরাজিত, ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে পড়েন সতীর্থরা। মিরপুরে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি দেখার আগে নেমে এসেছিল পিনপতন নীরবতা। শুভাগত হোমের বল মিড উইকেটে ঠেলে তামিম পৌঁছে যান মাইলফলকে।

তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইস্ট জোন ৫০০ পেরিয়ে গেছে কেবল ২ উইকেট হারিয়েই। সেন্ট্রাল জোনকে ২১৩ রানে অলআউট করে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে ইস্টরা। মোস্তাফিজ-মুকিদুল-শহিদুলের পেস আক্রমণ গুঁড়িয়ে দিয়ে তামিম তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২৬ বলে ১৪ চারে পৌঁছান তিন অঙ্কে। দেখা পান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরির।

শনিবার চা-বিরতির পর তামিম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছান। ওই ওভারেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুই বাঁহাতি মিলে যোগ করেন ২৯৬ রান। মুকিদুল ইসলামের বলে মুমিনুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে তিনশর খুব কাছে গিয়ে ভাঙে জুটিটি। ১৯৪ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় মুমিনুল করে যান ১১১। আর অপরাজিত থাকা তামিম রোববার তুলে নিলেন ট্রিপল।

যেভাবে তিনশ ছুঁলেন তামিম
১০০ রান, ১২৬ বল, ১৪ চার
২০০ রান, ২৪২ বল, ২৯ চার
৩০০ রান, ৪০৭ বল, ৪০ চার