বোকার মতো ভুল করেছি, ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতাম: সাকিব

বোকার মতো ভুল করেছি, ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতাম: সাকিব

জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের কথা গোপন করে সবধরনের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গেল বছরের অক্টোবরের তিনি নিষিদ্ধ হন। ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে সাকিব জানালেন, তিনি বোকার মতো ভুল করেছেন, নিষিদ্ধ হতে পারতাম ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য।

সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি এটা একটু বেশিই হালকাভাবে (ক্যাজুয়ালি) নিয়েছিলাম। অবশ্যই আমি এই প্ল্যাটফর্মে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করতে চাই না। আমি যখন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলাম এবং বললাম, তারা সবকিছু জানে। সব প্রমাণ দিলাম, ভেতরে-বাইরের সবকিছু তারা খুঁটিনাটি সব জানে। সত্যি কথা বলতে, এই কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। নইলে ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম।’

বোকার মতো ভুল করেছেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, বোকার মতো ভুল করেছিলাম। কারণ যে অভিজ্ঞতা আমার আছে, যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে যতগুলি ক্লাস করেছি, আমার ওই ভুল করা উচিত হয়নি। সেটা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।’

জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের বিষয়টি কেন জানাননি সাকিব? এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। ‘দেখুন, আমরা হাজারও ফোনকল পাই, ম্যাসেজ পাই, কয়টা আর মনে থাকে! একটা উদাহরণ আমি দিতে পারি, ওই লোকটি যখন শেষবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছিলাম, সরি, কার সঙ্গে কথা বলছি? তার মানে, আমার মনেও ছিল না, কার সঙ্গে কথা বলছি। তার সঙ্গে আগে কথা বলেছি ২-৩ বছর আগের। ওই সময় আমি জানতামও না লোকটা কে। ওই সময় তার নম্বরও আমার কাছে ছিল না।’

ভুলের জন্য শিক্ষা পেয়েছেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘যাহোক, তারা যখন (আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ) তদন্ত করেছে, এসব তারা জানত এবং পরিস্থিতি বুঝেছে। তবে সত্যি, কারও উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের ম্যাসেজ বা কল কারও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় বা ওভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত নিরাপদে থাকতে হলে। এই শিক্ষা আমি পেয়েছি, বড় শিক্ষা এটি।’

নিজের ওপর বাড়তি আত্মবিশ্বাসই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সাকিবের জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সবসময় বেশির ভাগ ব্যাপারই ঠিক করেছি, কখনও কখনও সেই বোধ পেয়ে বসতে পারে। মনে হতে পারে, কী আর হবে। কিছুই হবে না। আমি তো ভুল কিছু করছি না। কিন্তু কেতাবি হিসেবে তো ভুল হচ্ছে। হয়তো নৈতিকতার দিক থেকে ভুল হচ্ছে না, কিন্তু আইন বা নিয়মের দিক থেকে ভুল হচ্ছে। অনেক সময় এটি মনে থাকে না। এটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি। মাথায়ই আসেনি যে ভুল করতে পারি। পাত্তা দিতে চাইনি। সেই ভুলই আমি করেছি।’