রোনালদোরা বিধ্বস্ত ইব্রার মিলানের কাছে

রোনালদোরা বিধ্বস্ত ইব্রার মিলানের কাছে

প্রত্যাবর্তনের এক অসাধারণ গল্পই লিখল আসলে এসি মিলান! তাও আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-গঞ্জালো হিগুইয়েনদের নিয়ে গড়া সিরি 'আ'র চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসকে হারিয়ে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ-আন্তে রেবিচরা ম্যাচ জিতে নিয়েছেন ৪-২ গোলে। মিলানের সুইডিশ স্ট্রাইকার ইব্রা তো ম্যাচের পর সদর্পে দাবিও করেছেন, তাঁকে আরও আগে আনলে এই মৌসুমে মিলানই শিরোপা জিতত!

দুই বড় দলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধটা কেটেছে গোলশূন্য। সেই অভাব পুষিয়ে দিতেই কি না, দ্বিতীয়ার্ধে গোলের পর গোল! একে একে ছয়টি। ৪৭ মিনিটে আদ্রিয়াঁ রাবিওর গোলের পর ৫৩ মিনিটে জুভের হয়ে ব্যবধান বাড়ান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই মৌসুমে সিরি 'আ'য় এটা পর্তুগিজ উইঙ্গারের ২৬তম গোল। তখন মনে হচ্ছিল, জুভের জয়টাও বুঝি সময়ের ব্যাপার।

কিন্তু ৬২ মিনিটে ইব্রার পেনাল্টি থেকে মিলান একটা গোল শোধ করতেই ভোজবাজির মতো পাল্টে গেলে পরিস্থিতি। জুভেন্টাসের পাওলো দিবালা, ম্যাথিয়াস ডি লিখটরা ছিলেন না নিষেধাজ্ঞার। সেই অভাবটা ভালোই টের পেয়েছে ইতালির চ্যাম্পিয়নরা। ৪ মিনিট পর ইব্রার পাসেই ফ্রাঙ্ক কেসির গোলে সমতা। এর তিন মিনিট পর জুভকে চমকে দিয়ে রাফায়েল লিয়াও এগিয়ে দেন মিলানকে। আর ৮০ মিনিটে আনতে রেবিচ চতুর্থ গোলটি করে জুভের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

আগের দিন পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা লাৎসিও ২-১ গোলে লেচ্চের কাছে হেরে যাওয়ায় এই হারে খুব একটা ক্ষতি হয়নি জুভেন্টাসের। দুই দলের ব্যবধান এখনো ৭ পয়েন্ট, ৩১ ম্যাচ শেষে জুভের পয়েন্ট ৭৫, লাৎসিওর ৬৮। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট মিলানের, তারা পয়েন্ট তালিকায় উঠে এসেছে ৫ নম্বরে।

এমন জয়ের পর মিলান উচ্ছ্বাসে ভাসবে এটাই স্বাভাবিক। ২০১২ সালে মিলান ছাড়ার পর গত বছর ডিসেম্বরে আবার এই ক্লাবে ফিরে আসা ইব্রা তো আনন্দে আটখানা। খুশিতে বললেন, 'আমি যদি মৌসুমের শুরু থেকে খেলতাম, তাহলে মিলানই এবার লিগ শিরোপা জিতত।'

কেমন লাগছে আবার মিলানে ফিরে? এই প্রশ্নে তার উত্তর, 'মনে হচ্ছে আমিই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, কোচ ও খেলোয়াড়। তবে ওরা আমাকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে বেতন দেয়, এই আর কী!'

এমজে/