লিভারপুলের বিভীষিকার রাত

লিভারপুলের বিভীষিকার রাত

সত্যিই অবিশ্বাস্য। এও সম্ভব! ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল হজম করবে সাত গোল? তাও অ্যাস্টন ভিলার সাথে। অ্যাস্টন ভিলা সবশেষ লিগ চ্যাম্পিয়ন কোন মওসুমে? মাথা গোলমাল হয়ে যাবে, আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে। সেই ভিলায় প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এমনভাবে নাস্তানাবুদ হবে পরাক্রমশালী লিভারপুল, তা কেউ ভাবেনি।

কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বলেই তা সম্ভব। পয়েন্ট তালিকায় তলানিতে থাকা দলও মাঝে মধ্যে হুঙ্কার দেয় শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে। লিভারপুলের তেমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো রোববার রাতে। অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে অল রেড শিবির হেরেছে ২-৭ গোলে। ইতিহাসে ৫৭ বছর পর ৭ গোল হজম করল লিভারপুল। চলতি মওসুমে লিগে প্রথম হার।

ঘরের মাঠ ভিলা পার্কে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক বলতে গেলে দুজন। ওলে ওয়াটকিন্স, রেকর্ড ফিতে দলে ভেড়ানো এই স্ট্রাইকার করেছেন হ্যাটট্রিক। জোড়া গোল করেছেন গ্রেলিশ। বাকি একটি গোল বার্কলের। লিভারপুলের হয়ে দুটি গোল মোহাম্মদ সালাহর।

লিভারপুলকে একপ্রকার উড়িয়ে দেয়া জয় অবিশ্বাস্য লাগছে খোদ অ্যাস্টন ভিলার কোচ ডিন স্মিথের। তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি, এমন ফল আসবে। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। এটা বলতেই হবে।’

চোটের কারণে লিভারপুল এই ম্যাচে পায়নি প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক অ্যালিসনকে। করোনায় আক্রান্তের কারণে ছিলেন না সাদিও মানে ও থিয়াগো। এসব কারণ এখন আর খাটছে না। লিভারপুল কোচ বাকরুদ্ধই। তবে কথা বলতে গিয়ে আকণ্ঠ প্রশংসা করেছেন অ্যাস্টন ভিলাকে, ‘আপনাকে বলতেই হবে অ্যাস্টন ভিলা দুর্দান্ত খেলেছে। তারা সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল, কিন্তু আমরা না। আমরা অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু এও সত্য ম্যাচটি কখনো ৭-৭ হতে পারত না। ভুল আমরা অনেক করেছি।’

লিগে লিভারপুলের সবশেষ এমন হার ১৯৬৩ সালের এপ্রিলে। টটেনহ্যামের সঙ্গে ৭-২ গোলের হার। অ্যাস্টন ভিলারও দ্বিতীয়বারের মতো লিগে কোন দলের বিরুদ্ধে সাত গোলের জয়। এর আগেরটি ছিল ১৯৯৫ সালে উইম্বলডনের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলে জয়। চলমান লিগে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় অ্যাস্টন ভিলার। এমন ঘটনা অ্যাস্টন ভিলা করল ১৯৬২-৬৩ মৌসুমের পর।

নয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অ্যাস্টন ভিলা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে এভারটন। চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের অবস্থান পঞ্চমে।

এমজে/