মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে এগিয়ে বাংলাদেশ

মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে এগিয়ে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭১ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিন বলের ব্যবধানে অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ও শান্ত। ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ধীর গতিতে শুরু করা সাদমানকে ফেরান শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৪২ বলে ৫ রান করেন সাদমান।
৩৩ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে চাপে থাকা দলকে স্বস্তি এনে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহীম। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে দলের ক্ষতি বাড়তে দেননি তারা।

তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট ৪৭ রান। কর্নওয়াল ২টি ও গ্যাব্রিয়েলের শিকার ১ উইকেট। চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন মুমিনুল হক ৩১* ও মুশফিকুর রহীম ১০*। ২১৮ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩০ রান।

দারুণ নাটকীয়তায় ভরা ছিল চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন। আগের দিনের ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে শুক্রবার তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের প্রথম বলেই এনক্রুমাহ বনারকে (১৭ রান) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম।

অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। দারুণ ব্যাট করতে থাকা ব্র্যাথওয়েটকে (৭৬ রান) বোল্ড করেন নাঈম হাসান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই কাইল মেয়ার্সকে (৪০ রান) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। প্রথম সেশনে ১১৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।

লাঞ্চ বিরতির পর অভিজ্ঞ জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের করে নেয়ার পথে ছিল ক্যারিবীয়রা। তবে চা বিরতিতে যাওয়ার আগের শেষ দুই ওভারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। নাঈম হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ডি সিলভা (৪২ রান) ফিরলে ভাঙে ৯৯ রানের জুটি।

পরের ওভারের প্রথম বলেই ব্ল্যাকউডকে (৬৮ রান) ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন মিরাজ। চা বিরতির পর উইন্ডিজের ইনিংস স্থায়ী ছিল মাত্র ১৭ বল। ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। তাদের শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে মাত্র ৬ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ১৭১ রানের। ব্যাট হাতে শতক হাঁকানোর পর বোলিংয়েও দারুণ নৈপুণ্য দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট।