যে কৌশলে বল বিকৃতি, অবশেষে ধরা...

যে কৌশলে বল বিকৃতি, অবশেষে ধরা...

ঢাকা, ২৫ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ই বল বিকৃতির পরিকল্পনা করা হয়। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকার লিডটা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলীয় বোলাররাও উইকেট থেকে খুব বেশি সুবিধা পাচ্ছিলেন না। খুব একটা সুইং-টুইংও হচ্ছিল না। এ সময় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের পরামর্শে এই জঘন্য প্রতারণার পরিকল্পনা করেন। স্মিথ অবশ্য এই ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেননি। তার ভাষায়, এই সিনিয়র ক্রিকেটাররাই নাকি ‘লিডারশিপ গ্রুপে’র অংশ।

অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক দিন শেষে স্বীকার করেছেন, কিছুটা ‘বাড়তি সুবিধা’ নিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়। তবে কোচ ড্যারেন লেম্যানসহ দলের কোচিং স্টাফরা এই পরিকল্পনার কথা কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

পরিকল্পনা অনুযায়ী হলুদ রঙের কিছু টেপ (সিরিশ কাগজও হতে পারে) এই কাজে ব্যবহার করা হয়। এই হলুদ টেপে মাঠের ধুলোবালু মাখিয়ে সেটা দিয়ে বল ঘষার মাধ্যমে বিকৃতির এই পরিকল্পনা অবশ্য পরে ধরা পড়ে যায় চা বিরতির সময় টেলিভিশন ক্যামেরার কারিশমায়। সেখানে দেখা যায়, ক্যামেরন ব্যানক্রফট পকেট থেকে সেই হলুদ টেপ বের করে তা দিয়ে বল ঘষছেন। একটা পর্যায়ে সেই হলুদ টেপ পকেটে রাখার দৃশ্যও ধরা পড়ে টেলিভিশন সম্প্রচারে। তৃতীয় আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নিজের লাউঞ্জে বসে সেই ফুটেজ দেখেই মাঠের আম্পায়ারদের নির্দেশ দেন ব্যানক্রফটকে ধরার। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান অবশ্য আম্পায়ারদের চোখে সে সময়ের জন্য ধুলো দিয়েছিলেন। পরে বাঁচতে পারেননি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাণ্ডের জন্য ব্যানক্রফটকে বেছে নেওয়া হলো কেন? উত্তরটা খুবই সহজ। মাত্র ৮ টেস্টের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ক্রিকেটার তুলনামূলকভাবে কম খ্যাতিসম্পন্ন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা ভেবে দেখেছে, মাঠে ক্যামেরার মনোযোগ ব্যানক্রফটের প্রতি কমই থাকবে। সে সুযোগে তিনি এই কাজ সফলভাবেই করতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন সবাই।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২০৫০ঘ.)